চট্টগ্রাম:স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার পথে জামায়াতের ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী স্মারকলিপি জমা দিতে তারা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যাচ্ছিলো।
এসময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যান নগর জামায়াতের আমীর ও সাংসদ আনম শামসুল ইসলাম চৌধুরী। এছাড়া ধাওয়া খেয়ে পালাতে গিয়ে ছাবের আহম্মেদ (৫০) নামে নগর জামায়াতের এক কর্মী রাস্তায় পড়ে আহত হন। আহত অবস্থায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হওয়া অপর ১০ নেতাকর্মী হলেন, ইসলামী শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের খান (৬৫), জামায়াত কর্মী রমজান আলী (৭৪), সিদ্দিকুর রহমান (৫০), মো.ইউনূস (৪৮), ফারুক-ই-আজম (৪৮), অ্যাডভোকেট ইউসুফ এ হারুন (৫৩), লুৎফর রহমান (৩৪), চঞ্চল আহমেদ (৩৮), আব্দুল কাদের (৫৫) এবং শিবির কর্মী জসীম উদ্দিন (২৫)।
গ্রেপ্তারের পর জামায়াত নেতাকর্মীদের নগরীর কোতয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জামায়াতনেতা আবু তাহের খান বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম। পথে পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করে। ’
গ্রেপ্তারকৃত জামায়াত নেতাকর্মীদের মুক্তি, হয়রানি বন্ধ ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর দেওয়ানজী পুকুরপাড় এলাকায় জামায়াতের কার্যালয় থেকে বের হন প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।
কোতয়ালী থানার পেট্রল ইন্সপেকটর নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, জামায়াত কার্যালয়ের সামনে তাদের মিছিল না করার অনুরোধ করলে তারা মিছিল করবেন না বলে কথা দেন। এরপর তারা সাংসদ শামসুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। সেখানে তাদের আবারও কোনো ধরনের স্লোগান না দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু অনুরোধ উপো করে তারা হঠাৎ মিছিল শুরু করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এসময় সাংসদ দৌড়ে পালালেও তিনজনকে আটক করা হয়। পরে মিছিলে যোগ দিতে মাইক্রোবাস নিয়ে আরও আট নেতাকর্মী এলে তাদেরও আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১০