ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

সিইসি’র সঙ্গে প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

পৌর নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি বিএনপির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১০
পৌর নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি বিএনপির

ঢাকা: পৌরসভা নির্বাচনে সেনা মোতায়েন চায় বিএনপি। বিএনপি’র ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার(সিইসি) ড. এটিএম শামসুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাত করে এ দাবি জানান।

  সাক্ষাৎকালে বিএনপি নেতারা রিটার্নিং অফিসার ও আপিল কর্তৃপক্ষের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন  তোলেন।

এসময় মহাজোটের জোটবদ্ধ ভাবে নির্বাচনের ঘোষণারও বিরোধীতা করেছেন তারা। তারা বলেছেন, জোটবদ্ধভাবে পৌরসভা নির্বাচন নির্বাচনী আইনের পরিপন্থি। তাই তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে মহাজোটের জোটবদ্ধ নির্বাচনে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছে।

সাক্ষাৎকালে অপর দুই কমিশনার ড. ছহুল হোসাইন ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল(অব.) সাখাওয়াত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ ও দফতর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী।

সাক্ষাত শেষে এম কে আনোয়ার সাংবাদিকদের জানান, সরকারি দল নির্বাচনে জোটগতভাবে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু আইন অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয়। সরকারের এ ধরনের বক্তব্যের পর সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থেকে যায়। এ ব্যপারে কমিশনের নিজস্ব অবস্থান ব্যাখ্যা করতে হবে।

এ কারণে সেনা মোতায়েনের দাবি জানানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্দলীয়, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার সুবিধার্থে নির্বাচন কমিশনের কাছে সেনা মোতায়েনের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। তিনি জানান, প্রয়োজনে সেনা মোতায়েনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কমিশনাররা আশ্বাস দিয়েছেন।

এম কে আনোয়ার বলেন, নির্বাচন পরিচালনার জন্য রিটার্নিং অফিসার হিসেবে প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরা কতটা নিরপেক্ষ আচরণ করবে? আপিল কর্তৃপক্ষও প্রশাসনের লোক। এক্ষেত্রে দল নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োজিত করা হলে বিষয়টির গ্রহণযোগ্যতা বাড়তো।

এসময় বিএনপি নেতারা অভিযোগ জানান, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেকদিন। কমিশন অনেকগুলো নির্বাচনের তারিখ দিয়েও নির্বাচন করতে পারেনি। সর্বশেষ ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এসে সিইসি’র সঙ্গে বৈঠক করে যাওয়ার পর সেটিও স্থগিত করা হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, সরকার নিজেদের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি নিশ্চিত না করে নির্বাচন দেবে না। এটি গণতন্ত্রের জন্য একটি ভয়াবহ অশনি সংকেত।

দুপুরে নির্র্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) মুহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সদ্যঘোষিত পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল সম্পর্কে বিএনপি তাদের মতামত জানিয়েছে। এটিকে নির্বাচনের জন্য সহায়ক হিসেবে নিয়েছে কমিশন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১০ ইং

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।