ঢাকা: স্পিকারের আমন্ত্রণ সত্ত্বেও সংসদের সপ্তম অধিবেশনও যাচ্ছে না প্রধান বিরোধীদল বিএনপি।
রোববার জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক সংসদে না ফেরার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
যুক্তি হিসেবে তিনি ফের পরিবেশ না থাকার বিষয়টি তুলে ধরেন। এছাড়া সংসদে ফেরার শর্ত হিসেবে বেশ কিছু দাবিও জানান বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিরোধীদলীয় নেতাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ, ৩০ নভেম্বর হরতালে বিরোধী দলের নারী সাংসদসহ নেতা-কর্মীদের ওপর র্যাব-পুলিশের নির্যাতন ইত্যাদি বিষয়ে বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরেন তিনি।
বিকেল চারটায় স্পিকার আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে সপ্তম অধিবেশন শুরু হবে।
জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, ‘আমরা অধিবেশনে যোগ দিচ্ছি না। পরিবেশ সৃষ্টি হলে যোগ দেবো। শনিবার স্পিকার আমাদের ডেকেছিলেন। তার সঙ্গে সংসদের পরিবেশ, খালেদা জিয়ার বাড়ি, সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ’
আলোচনায় স্পিকারকে অসহায় মনে হয়েছে মন্তব্য করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘স্পিকার অসহায় হলে সংসদ চালাচ্ছেন কে?’
জয়নুল আবদীন ফারুক আরও বলেন, ‘স্পিকার দুই দলকে একসঙ্গে বসানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পারেননি। তিনি আমাদের সংসদের পরিবেশ ভালো করার আশ্বাস দিয়েছেন। এ অবস্থায় আমরা সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিবেশ ভালো হলে আগামীতে সংসদে যাবো। ’
পঞ্চম অধিবেশন থেকে এ পর্যন্ত টানা ৪৩ দিন অনুপস্থিত রয়েছেন তারা। সর্বশেষ পঞ্চম অধিবেশনের প্রথম দিন সংসদে যোগ দিলেও এরপর আর সংসদে আসেননি বিরোধী দলীয় সাংসদরা।
এ হিসেবে বিরোধী দলের সাংসদরা ছয়টি অধিবেশনে ১৬৯ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদে ছিলেন মাত্র ৪৬ দিন।
বিএনপির সংসদ বর্জন শুরু মূলত সামনের সারিতে আসন সংখ্যার বিতর্ক দিয়ে। তবে সময়ের সঙ্গে এ বিতর্কের সঙ্গে যোগ হয়েছে নানা দাবি এবং অভিযোগ। সদ্যসম্প্রতি দলের একজন শীর্ষ নেতা সংসদ থেকে পদত্যাগেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এদিকে, চলতি সংসদের সপ্তম অধিবেশনের মেয়াদ কত দিনের হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। সংসদের কার্য উপদেষ্টা সভায়ই ঠিক হবে মেয়াদ।
সংসদ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ অধিবেশনে ১২টির মতো বিল উত্থাপিত হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১০