ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে পারেনি বিএনপি

মান্নান মারুফ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১০
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে পারেনি বিএনপি

ঢাকা: প্রধান বিরোধীদল বিএনপির ডাকে মঙ্গলবার রাজধানীসহ সারাদেশে পালিত হয়েছে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ধরপাকড় চালিয়েছে।

সকাল থেকেই নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় অফিস ঘিরে রাখে পুলিশ। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের কাউকে দেখামাত্র আটক করা হয়। এতে কমপক্ষে ৪৪ জন আটক হন।

সকাল থেকেই চলতে থাকে ধর-পাকড়। বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গেলেই নেতাকর্মীদের আটক করা হয়। রাজনৈতিক কর্মী ছাড়াও সাধারণ কেউ ওই এলাকায় ঢুকে পড়লে তাদেরও আটক করা হয়।

এছাড়া কার্যালয়ের ভিতরে অবস্থানকারীরা রাস্তায় বের হতে চাইলেও পুলিশ ধাওয়া দিয়ে আবার অফিসে ঢুকিয়ে দেয়।

বেলা তিনটার কিছু পর র‌্যাব-৩ এর একটি টহল দল খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও সাবেক সাংসদ ফেরদৌস আক্তার ওয়াহিদা এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আরিফা জেসমিনসহ চারজনকে নয়া পল্টন থেকে আটক করে।  

এর আগে সোয়া ২টার দিকে জাতীয়তাবাদী যুব আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ড. গোলাম রব্বানিকে আটক করে পুলিশ। দুপুর ১২টার দিকে সাংসদ নিলুফার চৌধুরী ও সাবেক সাংসদ হেলেন জেরিন খানসহ চারজনকে আটক করা হয়।

এর আগে সকাল সোয়া সাতটার দিকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের একদল নেতাকর্মী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে তাদেরকে ঘিরে ফেলে পুলিশ। বাধা উপো করে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা শুরু করে। এসময় সেখান থেকে আটক করা হয় জাতীয়তাবাদী মৎসজীবী দলের সভাপতি মাহতাব হোসেনসহ ২৪ জনকে।

এসময় বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুকসহ কয়েক জন নেতা কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান করছিলেন।

খোন্দকার দেলোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, আগের হরতালে নেতাকর্মীরা মিছিল করতে পারলেও এবার তা করা যাচ্ছে না। পুলিশ বাধা দিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে।

বিরোধীদলীয় চিপ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ‘সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মী যেখানেই রাস্তায় নামছে, সেখানেই পুলিশ বাধা দিচ্ছে। মিছিলতো দূরের কথা পুলিশ নেতাকর্মীদের রাস্তায় নামতেও দিচ্ছে না। ’

দুপুরে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক ও সাংসদ মজিবুর রহমান সারোয়ার আটককৃতদের খোঁজ খবর নিতে পল্টন থানায় যান। এসময় কেন নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনি তা জানতে চান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের কাছে। আটককৃতদের খাবারের ব্যবস্থাও করেন তারা।

বাংলাদশে সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।