ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

রাজনীতিকরা কে কোথায় ঈদ করবেন

মান্নান মারুফ/আসাদ জামান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১০
রাজনীতিকরা কে কোথায় ঈদ করবেন

ঢাকা: রাজধানী ঢাকাতেই ঈদুল আজহা কাটবে বেশীরভাগ রাজনৈতিক নেতার। তবে নির্বাচনী এলাকাতেও ঈদ করবেন অনেকে।

কেউবা আবার ঢাকায় ঈদের নামাজ পড়েই  কোরবানির জন্য ছুটবেন নিজের এলাকায়। কেউ কেউ গ্রামের বাড়িতে ঈদের নামাজ ও কোরবানি শেষে চলে আসবেন ঢাকায়। অনেক নেতা ঢাকা এবং গ্রামে দুই জায়গাতেই কোরবানি দেবেন। এছাড়া দেশের বাইরেও ঈদ করবেন অনেক নেতা। কারাবন্দি নেতার সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়।

বাংলানিউজের পক্ষ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে প্রায় প্রত্যেক নেতাই নির্বাচনী এলাকায় গণ-সংযোগ করে নেতা কর্মীদের চাঙ্গা করতে চাইছেন। তাই দুস্থদের হাতে  কোরবানীর মাংস তুলে দেবেন তারা। এরই মধ্যে অনেকেই গরু কিনেছেন। অনেকেই এসব গরু জবাই করে গরীবদের মাঝে বিতরণ করবেন বলে জানিয়েছে নেতাদের পারিবারিক সূত্র। বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে এদের অনেকেই নিজে উপস্থিত থেকে কোরবানি দিয়ে মাংস বিতরণ করবেন বলে জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদুল আযহা উদযাপন করবেন ঢাকায়। ঈদের নামাজের পর গণভবনে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তিনি।

বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পরিবর্তিত পরিস্থিতে ছোট ভাই শামিম ইসকান্দরের বাড়িতে ঈদ করবেন। সকালটা তিনি কাটাবেন সেখানেই। ১১টার দিকে চলে আসবেন ইস্কাটন লেডিস কাবে। দুপুর পর্যন্ত সেখানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে ঈদশু শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তিনি। পরে জিয়ার মাজারে দোয়া ও মোনাজাত করতে যাবেন। সন্ধ্যায় তার গুলশান কার্যালয়ে দলীয়  নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ঈদ করবেন ফরিদপুরে। উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক চিকিৎসার জন্য বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। সেখানেই তিনি ঈদ করবেন। আমির হোসেন আমু ঢাকায়, তোফায়েল আহমেদ ভোলা, দলের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ঢাকায়, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী শেরপুর, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ঢাকায়, ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ ঢাকায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ঢাকায়, আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ঢাকায়, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন নেত্রকোণা, বাহাউদ্দিন নাছিম মাদারীপুর, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দিনাজপুর, মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ সিলেট, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি ঢাকায় ঈদ করবেন।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সিলেট, খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক টাঙ্গাইলে ঈদ করবেন।

চিকিৎসার জন্য লন্ডনে থাকায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্ত্রী-কন্যাসহ ঈদ করবেন সেখানেই। তার ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকো ঈদ করবেন ব্যাংককের হাসপাতালে।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে ঢাকায় ঈদ করবেন মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ভাইস-চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ঢাকা সিটি মেয়র সাদেক হোসেন খোকা প্রমুখ।

স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার ও লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান ঢাকায় ঈদ করে পরের দিন সকালে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় যাবেন কোরবানি দিতে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবার ঈদ করবেন নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীতে।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুমিল্লায় তার নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করে বিকেলেই চলে আসবেন ঢাকায়।   কোরবানি দেবেন ঢাকা কুমিল্লা দুই জায়াগাতেই।

চট্টগ্রামের রাউজানে নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করবেন স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান তার গ্রামের বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুরে ঈদ কাটাবেন।

জামায়াত নেতাদের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম ঢাকায় ঈদ করবেন।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ঈদ করবেন গ্রামের বাড়িতে।

ঢাকায় যারা ঈদ করবেন তাদের অধিকাংশই জাতীয় ঈদগাহে নামাজ পড়তে চান। আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলোর নেতারা নামাজ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘শুভেচ্ছা বিনিময়’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

আর বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতারা নামাজের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘শুভেচ্ছা বিনিময়’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

এবার কারাগারেও ঈদ করবেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতা। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঈদ করবেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, সাবেক সাংসদ নাসির উদ্দিন পিন্টু, আরিফ কমিশনার প্রমুখ। সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন ঈদ করবেন কুমিল্লা কারাগারে।

জামায়াত নেতাদের মধ্যে কারাগারে ঈদ করবেন আমীর ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা, অধ্যাপক মুজিবুর রহমান,  ঢাকা মহানগর জামায়াত আমীর রফিকুল ইসলাম খান, রাজশাহী মহানগর জামায়াত আমীর আতাউর রহমান, খুলনা মহানগর জামায়াত আমীর ও সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০৩০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।