ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে বিরোধী দলের ওপর প্রতিহিংসা এবং নির্যাতনের একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সরকার।
সোমবার মতিঝিলে নিজ অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘বেআইনিভাবে এবং জোরপূর্বক খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে সরকার দেশকে ইচ্ছাকৃতভাবে ভয়াবহ সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ’এর দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে তিনি হুঁশিয়ার করে দেন।
খালেদা জিয়াকে ক্যাটনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী যেখানে একজন আপিলের জন্য ৬০ দিন সময় পেয়ে থাকেন, সেখানে সেই আপিল শুনানির আগে ৩০ দিনের মাথায় কোনো ধরনের নোটিশ বা আইনানুগ প্রক্রিয়া ছাড়াই বেগম জিয়াকে বলপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন ছাড়া আর কিছুই না।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা কেন স্থগিতাদেশের জন্য আবেদন করেননি---রোববার অ্যাটর্নি জেনারেলের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, গত ১০ নভেম্বর আপিল বিভাগের কার্যতালিকার পাঁচ নম্বরে স্থগিতাদেশের শুনানিসহ আপিল শুনানির আবেদন ছিল। সেদিন আদালত দুটো শুনানি মুলতবি করেন।
মওদুদ বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল নিজেও ভাল করে জানেন, আপিল বিভাগের বিচারাধীন মামলায় যেখানে আপিল এবং স্থগিতাদেশের দরখাস্ত একইসঙ্গে বিচারাধীন রয়েছে এবং ২৯ নভেম্বর দু’টি শুনানির দিন ধার্য আছে। সেক্ষেত্রে আলাদা করে কোনো স্থগিতাদেশের প্রয়োজন পড়ে না।
তিনি দাবি করেন, খালেদা জিয়ার আবেদন ইনফ্রাকচুয়াস (অচল) করে দেওয়ার জন্যই সরকার দুরভিসন্ধিমুলকভাবে তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছে। আর এই স্বৈরাচারী মনোভাব দেখিয়ে সরকার দেশের উচ্চ আদালতের মান, সম্মান এবং মর্যাদাকেই শুধু ক্ষুন্ন করেনি, চরমভাবে অবমাননা করেছে।
মওদুদ বলেন, বেগম জিয়া মামলায় জিতলে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে অ্যাটর্নি জেনারেলের যে বক্তব্য দিয়েছেন তা হঠকারী। সন্ত্রাসী কায়দায় জোর করে বাড়ি দখলের পর এই বক্তব্য কতটা মুল্যহীন তা দেশবাসীর বুঝতে অসুবিধা হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১০