মাগুরা: মাগুরায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সোমবার জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাসহ ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা হয়েছে।
জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট মশিউল আজম হাসনু ও সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এম.এ. আওয়ালসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়।
শহরের খানপাড়ার মো. আব্দুল খান নামে এক মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১ সালের ২৯ অক্টোবর রাতে তার চাচা কাদের খানকে হত্যার অভিযোগে সোমবার বিকেল ৩টার দিকে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হচ্ছেন- শহরের তাঁতীপাড়ার বাসিন্দা গোপালগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন বাঁশি মিয়া ও মৌলভী মাহবুবুর রহমান, ইসলামপুর পাড়ার কবির হোসেন, কেশব মোড়ের ব্যবসায়ী আকতার মিয়া, মির্জাপুরের আবু ফতে, কুলুপাড়ার খালেদুর রহমান, ভায়নার মোহন মোল্যা, দোয়ার পাড়ের খান হাফিজুর রহমান ও তার ভাই হারুক খান, শত্রুজিৎপুরের ফকরুল ইসলাম ও ভিকু বিশ্বাস, বাখরাবাদের কাবিয়ার হোসেন, কলেজ পাড়ার খোকন, সাঁজিয়াড়ার আব্দুস সামাদ, সোনাতুন্দির মশিউর রহমান ও সাতনাফুরিয়ার আব্দুর রশিদ।
মামলা গ্রহণের পর ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহার বেগম এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
বাদী তার আরজিতে বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৯ অক্টোবর উল্লিখিত আসামিরা প্রথমে আমাদের বাড়িতে ঢুকে লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে আমাকে ও আমার চাচা কাদের খানকে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় তারা আমাকে ও আমার চাচাকে লক্ষ করে ব্রাশফায়ার করলে আমার চাচা কাদের খান ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আমি গুলিবিদ্ধ হয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে একটি জঙ্গলের ভেতরে ঢুকে যাই। পরে গোপনে আমি চাচার লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে এসে দাফনের ব্যবস্থা করি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১০