ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

চট্টগ্রামে শিবিরের তাণ্ডব : শতাধিক গাড়ি ভাংচুর, গুলি, আহত ৪০

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৯ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১০
চট্টগ্রামে শিবিরের তাণ্ডব : শতাধিক গাড়ি ভাংচুর, গুলি, আহত ৪০

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মহানগরে রোববার ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। হামলা , গাড়ি ভাংচুর,ইট পাটকেল ছুড়েই ক্ষান্ত হয়নি তারা।

গুলিও ছুড়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোটা, হকিস্টিক হাতে শতাধিক গাড়ি ভাংচুর করেন তারা। এ সময় পুলিশ ও পথচারীসহ প্রায় ৪০ জন আহত হন। শিবিরকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪১ শিবিরকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয় একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১০ রাউন্ড গুলিসহ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামাতের তিন শীর্ষ নেতার মুক্তির দাবিতে রোববার বিকেল চারটার দিকে দেড় শতাধিক শিবিরকর্মী মিছিল বের করেন। এসময় হালিশহরের বড়পুল, ছোটপুল এবং আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে হকিস্টিক, লোহার রড ও আগ্নেয়াস্ত্র হাতে বেপরোয়া গাড়ি ভাংচুর শুরু করেন তারা। তবে পুলিশ ৩০টি গাড়ি ভাংচুরের কথা স্বীকার করেছে।

মিছিলটি ছোটপুল এলাকায় পৌঁছার পর মিছিল থেকে মুহুর্মুহু ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন শিবিরকর্মীরা। এক পর্যায়ে তারা কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়েন। পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করার পাশাপাশি কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এসময় পুলিশের উপ-পরিদর্শক, পথচারি ও যানবাহনের যাত্রীসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন। পরে পুলিশের প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে শিবিরকর্মীরা পালিয়ে যান। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্ভি করা হয়েছে।

পুলিশের ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার এস এম তানভীর আরাফাত বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘শিবিরকর্মীরা আকস্মিকভাবে মিছিল বের করে বেপরোয়া গাড়ি ভাংচুর শুরু করে দেয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের ধাওয়া করলে শিবিরকর্মীরা চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে। ’

নগর বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শামছুল হক বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘শিবিরকর্মীরা মিছিল থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ’

কোতয়ালী থানার ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম বলন, ‘নাশকতা ও আতংক সৃষ্টির জন্য শিবির আকস্মিকভাবে এ তাণ্ডব চালিয়েছে। ’

সন্ধ্যার পর আগ্রাবাদ সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট থেকে ১০ রাউন্ড গুলি ও অস্ত্রসহ আবু বকর নামে এক শিবিরকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও ৪০ শিবিরকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেট ব্যবসায়ী সিমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলমও রয়েছেন। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

শিবিরের হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে রোববার রাতে চট্টগ্রাম ছাত্রলীগ শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে।

এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।