নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে শুক্রবার জেলা ছাত্রদলের মিছিলে দুই দফা লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আগামী ৩০ নভেম্বরের হরতাল সফল, দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজল ও দপ্তর সম্পাদক দিদার খন্দকারসহ ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ মিছিল বের হয়।
প্রত্যদর্শী সূত্র জানায়, ছাত্রদলের মিছিলের খবরে শহরের জেলা বিএনপি অফিস ও কাছাকাছি দ্ইু নম্বর রেলগেট এলাকায় সকাল থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সকাল পৌনে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ কাব মার্কেটের সামনে থেকে ছাত্রদলের মিছিল বের হয়। মিছিলটি বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে শহরের দুই নাম্বার রেলগেট এলাকা দিয়ে জেলা বিএনপি অফিসের সামনে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এসময় দুই নাম্বার রেলগেট এলাকায় পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। এসময় উভয়পে বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ মিছিল থেকে ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। পুলিশের বাধা উপো করে মিছিল যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
মিছিল থেকে আড়াইহাজার উপজেলার সফর আলী ভূঁইয়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি নেতা মঞ্জুর হোসেন ও ছাত্রদল কর্মী সেলিমকে আটক করে পুলিশ।
ছত্রভঙ্গ নেতারা সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পুরাতন কোর্ট এলাকায় জমায়েত হন। পরে সেখান থেকে আরেকটি মিছিল চাষাড়ায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসকাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে প্রতিবাদসভা করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। পুলিশ দ্বিতীয় দফা লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজল জানিয়েছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ অহেতুক বাধা ও লাঠিচার্জ করেছে। মিছিল মিটিং করা গণতান্ত্রিক অধিকার হলেও পুলিশ তাতে বাধা দিয়ে গণতন্ত্রের ধারাকে বিনষ্ট করছে।
তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আকতার হোসেন জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন ছিল। অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় মিছিল অন্য রাস্তা দিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ছাত্রদল নেতারা তা উপো করায় বাধা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১০