ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

‘বাংলাদেশের পাশাপাশি কাশ্মীরকেও মুক্ত করতে চেয়েছিলেন ইন্দিরা’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১০
‘বাংলাদেশের পাশাপাশি কাশ্মীরকেও মুক্ত করতে চেয়েছিলেন ইন্দিরা’

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ওপর প্রকাশিত একটি বইয়ের তুমুল প্রশংসা করেছেন ভারতীয় রাজনীতিকরা। বইটির ওপর একটি আলোচনা লেখেন ভারতের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির নেতা এল কে আদভানি।

আলোচনাটি তার ব্লগে প্রকাশিত হয়।

দীর্ঘদিন ধরে গবেষণাকর্মে নিয়োজিত থেকে বি জেড খসরু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস লিখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আদভানি। লেখক যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ভিত্তিক অর্থসংক্রান্ত প্রকাশনা দি ক্যাপিট্যাল এক্সপ্রেস-এর সম্পাদনা ও প্রকাশকের দায়িত্ব পালন করছেন। বইটির প্রচ্ছদ ফ্যাপে পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক বলে তার পরিচয় দেওয়া হয়েছে।

বইটি প্রকাশিত হয়েছে ভারত থেকে। বইটির নাম বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার: মিথস অ্যান্ড ফ্যাক্টস, যার বাংলা করলে দাঁড়ায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ॥ অতিকথা ও বাস্তবতা। লিখেছেন বাংলাদেশের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক বি জেড খসরু।

বই থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে আদবানি বলেন, বাংলাদেশের পাশাপাশি কাশ্মীরকেও স্বীধান করতে চেয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী।

আদভানিকে উদ্ধৃত করে দি পাইওনিয়ার, টেলিগ্রাফ, জিনিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস, দি হিন্দু প্রভৃতি পত্রিকায় এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছে।

আদভানি তার ব্লগে বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে আমার মনে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। আর তা হচ্ছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে শেখ মুজিবুর রহমানকে সহায়তার পাশাপাশি আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ ল্য নিয়ে ইন্দিরাজি এগিয়েছিলেন কি না? ল্য দুটি হচ্ছে, ১. পশ্চিম পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করা ও ২. পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরকে মুক্ত করা। ’ তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে একটি বই আমার হাতে আসে। বইটি পড়ার পরই আমার এটা মনে হয়েছে। ’

গত ১ নভেম্বরে বইটি প্রকাশ করেছে ভারতের বিখ্যাত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান রুপা পাবলিকেশনস। দাম রাখা হয়েছে ৩০ মার্কিন ডলার, পৃষ্ঠা ৪৮০।

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।