ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

চট্টগ্রামে খসরু ও নোমানের পৃথক কর্মসূচি, অংশ নেননি সাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১০
চট্টগ্রামে খসরু ও নোমানের পৃথক কর্মসূচি, অংশ নেননি সাকা

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি রোববার আলাদাভাবে পালন করেছে নগর বিএনপি’র দুটি পক্ষ।

এক পক্ষে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা নগর বিএনপি’র সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

অপর পক্ষে ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-সভাপতি অবদুল্লাহ আল নোমান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন।

এদিকে চট্টগ্রামে অবস্থান করলেও বিএনপি’র স্থায়ী কমিটি সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী দলীয় কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেননি।

সাকার অনুসারী বিএনপি নেতা খোরশেদ আলম বাংলানিউজকে জানান, গ্রামের বাড়ি রাউজানের গহিরায় শনিবার তিনি বাবা-মার কবর জিয়ারত করেছেন এবং মসজিদে নামাজ পড়েছেন। রোববার সারা দিন তিনি নগরীর গুডস হিলের বাসায় ছিলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে দুটি পক্ষই আলাদাভাবে দলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাঙ্গুনিয়াস্থ প্রথম কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এছাড়া পৃথক আলোচনা সভা, সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে উভয় পক্ষই।
 
আমীর খসরুর নেতৃত্বাধীন অংশটি বিকেলে নগরীর ষোলশহরের উডল্যান্ড পার্কে এবং নোমানের নেতৃত্বাধীন অংশটি লালদীঘি ময়দানে আলোচনা সভা, সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

এদিকে সম্প্রতি বিএনপি’র রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম মনজুর আলম রাঙ্গুনিয়ায় জিয়ার মাজারে খসরুর সঙ্গে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেও দুই পক্ষের কোনো সমাবেশে অংশগ্রহণ করেননি।

লালদীঘি ময়দানে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগ নেতারা যখন  ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন তখন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মেজর জিয়া নেতৃত্বশূন্য জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।

ট্রানজিটসহ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম থেকে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে লং মার্চসহ শীঘ্রই কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
 
তিনি আরো বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে খালেদা জিয়ার  বাড়ি রক্ষা করা হবে। ’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, ‘৭ নভেম্বরের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করেছিলেন। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। অথচ ৭ নভেম্বরে কথা শুনলে অওয়ামী লীগের গাত্রদাহ হয়। ’

উডল্যান্ড পার্কে আয়োজিত সমাবেশে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘শহীদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমান বার বার সংকটময় মুহূর্তে দেশকে রা করেছেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষনার মধ্য দিয়ে দেশকে পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত করেছেন। আবার ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশকে ধ্বংসের মুখ থেকে রা করেছেন। ’
 
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান সরকার শহীদ জিয়ার পরিবারকে ধ্বংসের জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির ফলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। সরকারের এসব অপকর্ম বন্ধ না হলে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad