ঢাকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রলীগ ক্যাডাররা স্বেচ্ছাসেবার নামে ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ব্যাগ ও মোবাইলফোন রেখে চাঁদাবাজি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ওই ইউনিটটির ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৩টায় ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কেন্দ্রের সামনে ছাত্রলীগের জাকির ও আইয়ুব গ্রুপের লিটন, শাহাদাতসহ কিছু কর্মী পরীক্ষার্থীদের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন ফ্রি সাভির্সের নাম করে জমা রাখেন।
কিন্তু বিকেল ৫টায় পরীক্ষা শেষ হলে ব্যাগ ও মোবাইল নিতে আসা পরীক্ষার্থীদের কাছে ব্যাগ প্রতি ৫০ টাকা ও মোবাইল প্রতি ১শ’ টাকা দাবি করেন তারা।
যারা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান তাদের ব্যাগ আটকে রাখা হয়।
এ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ভর্তিচ্ছুরা।
অনেকের ব্যাগ থেকে গাড়ীর টিকেটসহ প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র খোয়া গেছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
ভুক্তভোগী ঝিনাইদহ থেকে আসা পরীক্ষার্থী আলিম উদ্দিন নীরব ও ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে আসা আয়েশা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রথমে আমাদের কাছ থেকে টাকা লাগবে না বলে ব্যাগ নেয় কিছু ছেলে। কিন্তু আমরা পরীক্ষা গেলে ব্যাগের জন্য ৫০ টাকা ও মোবাইলের জন্য ১শ’ টাকা দাবি করে তারা। আমরা তা দিয়ে আমাদের ব্যাগ ও মোবাইলফোন ছাড়িয়ে আনি। ’
এ প্রসঙ্গে বক্তব্য চাইলে ফ্রি সার্ভিস নাটকের সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগ নেতা আউয়ুব বাংলানিউজকে বলেন, ‘কে চাঁদাবাজি করেছে আমি জানিনা। আমি পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতা করেছি মাত্র। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আগে থেকে পরীক্ষার্থীদের বলেছি- মোবাইল ও মানিব্যাগ অভিভাবকদের কাছে জমা রাখতে। তারপরও এ নিয়ে কিছু ঘটলে তার দায়ভার আমরা নেবো না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১০