ঢাকা: প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়ে করা পঞ্চম সংশোধনী অনুযায়ী বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম ও আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের সঙ্গে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে একমত পোষণ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রোববার (২২ জুন) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সংলাপের শেষে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রথমাংশে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মেয়াদ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেখানে জীবদ্দশায় ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে এমন সিদ্ধান্তে বেশিরভাগ দল একমত হয়েছে। এর মাঝে বিএনপি ও দুটি ছোট রাজনৈতিক দল এক্ষেত্রে পরে জানাবে বলেছেন।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, পরেরাংশে সংবিধানের মূলনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে সংস্কার কমিশন সাম্য, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র এবং মানবিক মর্যাদা এ বিষয়গুলোকে সংবিধানের মূলনীতি আনতে চান। আমরা এ বিষয়ে একমত জানিয়েছি। আওয়ামী লীগের সময়ে যে সংবিধান সংশোধন হয়েছে তা আমরা পুরোপুরি বাদ দেওয়ার কথা বলেছি।
তিনি আরও বলেন, পঞ্চম সংশোধনী যেটি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়ে হয়েছে তাতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ছিল। আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস ছিল। তার সঙ্গে এ চারটি বিষয় যোগ করার কথা বলেছি। তবে বাম ঘরনার কয়েকটি রাজনৈতিক দল এখানে আপত্তি জানিয়েছে। তাদের দল হিসেবে যে আস্থার বিষয় তা তারা জানিয়েছে। কিন্তু মেজর রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও ইসলামিক দলসহ আরও অনেক দল এতে একমত।
দুই মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে এমন প্রস্তাব থেকে সরে এসেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই মেয়াদের সরকার বলতে আমরা পূর্ণ মেয়াদের প্রধানমন্ত্রীত্বকেই বলেছি। সে অনুযায়ী ১০ বছর দুই পূর্ণ মেয়াদই হয়। একই পার্লামেন্টারি মেয়াদী একাধিক জন প্রধানমন্ত্রী হতে দেখা গেছে। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যর ক্ষেত্রে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পাওয়ারকে লিমিট ও দেশের স্থিতিশীলতা নির্ধারণ করা।
সংস্কার কমিশনের মাধ্যমে একমত আসলে হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দুই তিনদিনে অনেক বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। অনেক বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। স্ট্যান্ডিং কমিটির মেম্বারশিপের ক্ষেত্রে, প্রধানমন্ত্রীর টাইম পিরিয়ডের ক্ষেত্রে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে এবং সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়ে অনেকটা একমত হয়েছে। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে আমরা আরও এগোতে পারবো।
টিএ/আরআইএস