ঢাকা, বুধবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২, ১৮ জুন ২০২৫, ২১ জিলহজ ১৪৪৬

রাজনীতি

ভোটের সময় নির্ধারণে নয়, যৌথ বিবৃতিতে আপত্তি জামায়াতের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:১৩, জুন ১৮, ২০২৫
ভোটের সময় নির্ধারণে নয়, যৌথ বিবৃতিতে আপত্তি জামায়াতের বুধবার সংলাপের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকে নির্বাচনের সময় নির্ধারণে জামায়াতে ইসলামীর আপত্তি নেই, তাদের আপত্তি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের যৌথ বিবৃতিতে।

বুধবার (১৮ জুন) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় অংশ নেওয়ার ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

 

ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের মঙ্গলবারের (১৭ জুন) আলোচনা বয়কট করে জামায়াত। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে জামায়াতকে ‘ইগনোর’ করা হয়েছে, এমন দাবি তুলে এর প্রতিবাদ স্বরূপ তারা ওই সংলাপে যায়নি।

তবে বুধবার আলোচনায় অংশ নেয় দলটি। এতে নেতৃত্ব দেন সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

তিনি মঙ্গলবারের বৈঠকে জামায়াতের অনুপস্থিতির বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফরে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠককে আমরা ওয়েলকাম জানিয়েছি। ওখানে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে তিনি যে কথা বলেছেন, সেটাতেও আমাদের তেমন কোনো আপত্তি নেই। আমাদের প্রস্তাবনায় ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের সময়সীমা ছিল। ডিসেম্বর হলেও আমাদের প্রস্তাবের ভেতর থাকতো, ফেব্রুয়ারিতেও আছে, এপ্রিলে হলেও থাকতো। ’

জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার পর নির্বাচনের তারিখ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পরিবর্তন হলে সমস্যা ছিল না। বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। তাদের দাবি থাকতে পারে। তবে এটা ভালো হতো যদি প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরে টেলিভিশনে ঘোষণার মাধ্যমে তারিখটা পরিবর্তন করতেন। সেটা তিনি করেননি। ’

লন্ডনে বিএনপির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের যৌথ বিবৃতিকে ঘিরে বিস্ময় প্রকাশ করে ডা. তাহের বলেন, ‘আমরা খুব বিস্মিত হয়ে দেখলাম একটি দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তারা যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। এ দেশে ১০০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল আছে। তাহলে তো এমন কালচার তৈরি হবে, উনি (প্রধান উপদেষ্টা) যাদের সঙ্গেই কথা বলবেন, জয়েন্ট স্টেটমেন্ট দিতে হবে। এই যৌথ বিবৃতিতে আমাদের আপত্তি। এতে অনেক রাজনৈতিক দলই বিব্রত হয়েছে। ’

এদিন ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় দফার সংলাপে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাব আলোচনায় প্রাধান্য পায়। জামায়াতে ইসলামী এই প্রস্তাবকে সমর্থন করলেও রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে এনসিসির বাইরে রাখার পরামর্শ দেয়। ডা. তাহের জানান, এনসিসি গঠনে কিছু রাজনৈতিক দলের আপত্তি থাকায় বিরতির পর এ বিষয়ে পুনরায় আলোচনা হবে।

এসবিডব্লিউ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।