ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২, ১৭ জুন ২০২৫, ২০ জিলহজ ১৪৪৬

রাজনীতি

‘মানুষ মারার পরামর্শদাতারা কীভাবে সাংবাদিক হয়’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:১৭, জুন ১৬, ২০২৫
‘মানুষ মারার পরামর্শদাতারা কীভাবে সাংবাদিক হয়’

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, যারা মানুষ মেরে ফেলার পরামর্শ দেয় তারা কীভাবে সাংবাদিক হয়। এখনো কীভাবে তারা মিডিয়াতে কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে।

কারণ তাদের মূল প্রতিষ্ঠাতা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে।

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ( বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ( ডিইউজে) এ আলোচনা সভার আয়োজন করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, নিউ নেশনের সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি ও ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসিন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহকারী মহাসচিব বাসির জামাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি খন্দকার হাসনাত করিম পিন্টু, আব্দুল আওয়াল ঠাকুর, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান।

এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, গণতন্ত্র-স্বাধীনতা ও আওয়ামী লীগ এক সঙ্গে সঙ্গে চলেন। মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও আওয়ামী লীগ একসঙ্গে চলে না। কারণ তারা যতবারই রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্রকে হরণ করেছে।  

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় কিছু সাংবাদিক মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করেনি, ব্যক্তিগত ভাগ্য উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করেছে। এ কারণে কারো কারো ব্যাংক অ্যাকাউন্টে শত কোটি টাকা লেনদেন হয়। আবার দেশের বাইরে অনেকে বাড়ি করেছেন।  

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, ৫০ বছর পরও কেন আমরা সংবাদপত্রের কালো দিবস নিয়ে আলোচনা করি। কারণ সংবাদপত্রের ইতিহাসে এমন দিন আর কখনো আসেনি। সেদিন রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের আলোকে সংবাদপত্রের গলা চেপে ধরা হয়। সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দেশের সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে বেইমানি করা।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার নামে যখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গুম, খুন, ব্যাংক লুটের ঘটনা ঘটাচ্ছিলো তখন তা পত্রিকায় আসার কারণে সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমের প্রতি যে নিপীড়ন চালিয়েছেন সেটা দুনিয়ার ইতিহাসে আর কোথাও হয়নি। আমরা চাই একটি মানবিক দেশ, যেখানে কোনো গুম, খুন, হত্যা, মামলা নির্যাতন থাকবে না।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ বলেন, বাকশালের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকেও শেখ মুজিব বিলীন করে দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগকে মুক্ত করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। মিডিয়াকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশে এবং দেশের বাইরে চক্রান্ত চালানো হচ্ছে। সে কারণে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মিডিয়াকে ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয় সেজন্য আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।

টিএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।