ঢাকা, বুধবার, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৪ জুন ২০২৫, ০৭ জিলহজ ১৪৪৬

রাজনীতি

জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার ও ডিসেম্বর-এপ্রিলে নির্বাচন চায় জামায়াত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:০১, জুন ২, ২০২৫
জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার ও ডিসেম্বর-এপ্রিলে নির্বাচন চায় জামায়াত

জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার ও ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দল।

দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের বলেছেন, ‘আমরা সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করেছি।

আমরা বলেছি, জুলাইয়ের মাঝে সংস্কার শেষ করতে হবে। বেশিরভাগ বিষয়ে একমত হয়েছে। কিছু বিষয়ে সামান্য দ্বিমত আছে। কাল থেকে সব দলকে একসঙ্গে করে বৈঠক করে তাও ঠিক করার চেষ্টা করা হবে। যেসব বিষয় মৌলিক, কিন্তু একমত হচ্ছে না, তাও আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা যাবে বলে আমরা মনে করি। একেবারে একমত না হলে কী করা যাবে তা নিয়েও আলোচনা করব। ’

সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।  

ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের বলেন, জুলাইয়ের মধ্যে রিফর্ম হবে। তারপর একটি জুলাই সনদ হবে। তাতে আমরা সকল দল নীতিগতভাবে একমত। এই চার্টারে আমরা স্বাক্ষর করব।

জামায়াতের এই নেতা বলেন, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ড. ইউনূসের ওপর আমরা পুনরায় আস্থা ব্যক্ত করেছি। একটা সফল সুন্দর নির্বাচন হোক, তা-ই চেয়েছি। নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে তিনটি বক্তব্য এসেছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুন। কিছু রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে চেয়েছেন। আমাদের থেকে আমরা বলেছি, মে ও জুন মাস নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় নয়। সে অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টার কমিটমেন্ট রাখতে গেলে জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মাঝে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া যায়।

তিনি আরো বলেন, আমরা বলেছি এর মাঝে একটা তারিখ ঘোষণা করা হোক। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মাঝে একটা তারিখ দিলে জনমনে যে শঙ্কা এবং অস্বস্তি আছে, তা ঠিক হয়ে যাবে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে মনোযোগী হবে। কোন দল নির্বাচন একটা তারিখেই করতে হবে এমন শক্ত না হওয়া উচিত।

ডা. তাহের বলেন, বাংলাদেশের বাইরে ১ কোটি ১০ লাখ প্রবাসী আছেন। তারা রেমিট্যান্স দিয়ে এ দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছেন। তাদেরকে ভোটে সংশ্লিষ্ট করতে হবে। এজন্য যে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে যাওয়া উচিত, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগ নিতে দেখছি না। এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। আমরা প্রহসনমূলক নির্বাচন চাই না। তাই প্রত্যেকটি জায়গায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক জায়গাগুলো ঠিক করতে হবে। আগে থেকে কাজ করে উৎসবমুখর নির্বাচন চাই। এই বিষয়গুলো নির্বাচনের অনেক আগেই ঠিক করতে হবে।

ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে আপত্তি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রস্তুতি নিয়ে সংস্কার, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও প্রবাসীদের ভোটের বিষয় ঠিক করে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মাঝে যেকোনো সময়ে নির্বাচন দিলেই আমাদের জন্য ওকে।

টিএ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।