ঢাকা: বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ১১টি রাজনৈতিক দলের ১১ জন নেতা।
রোববার (২৫ মে) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে সরকারপ্রধানের বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক শুরু হয়।
এই বৈঠকে তিনটি বামপন্থি দলসহ ১১টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা যোগ দিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ ((বীর বিক্রম), নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনে প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সাবেক আহ্বায়ক খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক করতে যমুনায় পৌঁছেছেন রাজনীতিকসহ আরও নয় ব্যক্তিত্ব। সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে যমুনার সামনে আলাদা গাড়িতে করে পৌঁছান তারা।
দ্বিতীয় দফার বৈঠকে অংশ নিতে এসেছেন ইসলামী বক্তা মাওলানা সাদিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা আহমেদ আব্দুল কাদের, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাযী।
এর আগে গত শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায়ও যমুনায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধিদল বৈঠক করে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে এসব বৈঠক অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইএসএস/ডিএইচবি/এইচএ/