ঢাকা: জনগণ সরকারের সঙ্গে থাকলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অবশ্যই হবে বলে আশা করছেন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও বিশিষ্টজনরা।
শনিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তারা এ আশা প্রকাশ করেন।
সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনামন্ত্রী ও ফোরাম চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) একে খন্দকার।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সেক্টর কমান্ডার লে. জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশীদ, মেজর জেনারেল (অব.) সিআর দত্ত, লে. কর্নেল (অব.) আবু উসমান চৌধুরী, ব্যারিস্টার এম আমিরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান, প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন কমিটির শীর্ষ নেতা আহাদ চৌধুরী, পেশাজীবী পরিষদ নেতা ডা. কামরুল হাসান খান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ প্রমুখ।
সমাবেশের আগে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের পক্ষ থেকে নগরীর মিরপুরের বাংলা কলেজ, টঙ্গী ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী ও বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে র্যালি এসে জড়ো হয় শহীদ মিনারে।
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও বিশিষ্ট নাগরিকরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
সমাবেশে দেশি-বিদেশি চক্র যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন সেক্টর কমান্ডাররা। তারা নানা অশুভ উপায়ে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
তবে সরকারের সঙ্গে জনগণ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না বলেও আশা ধ্বণিত হয় সেক্টর কমান্ডার ও বিশিষ্টজনদের বক্তব্যে।
সেক্টর কমান্ডার উসমান চৌধুরী বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা যতই সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিক না কেন জনগণ সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকলে এ বিচার অবশ্যই হবে। ’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত করতে হবে যাতে ‘৭১ -এ যারা দেশের জন্য রক্ত দিয়েছেন ও অত্যাচারিত হয়েছেন তাদের আত্মীয়জন তা দেখে যেতে পারেন। ’
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অবশ্যই হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন একে খন্দকার।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘যতদিন এ বিচার না হবে ততদিন জাতি বিচার দাবি করে যাবে। ’
ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার না হলে মানব জীবন বিপর্যস্ত হবে। ’
তিনি আরো বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করা হয়েছে এমন কথা ঠিক নয়। জুলফিকার আলী ভুট্টো ১৯৫ অপরাধীকে তাদের দেশে নিয়ে বিচার করবেন বলে ফিরিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের বিচার করেননি। ’
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীরা মুক্তিযুদ্ধের সময় যে অপরাধ করেছে তা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। তাই আন্তর্জাতিক আদালতেই তাদের বিচার হবে। ’
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলে একে একে সব ধরনের অপরাধের বিচার হবে বলে মন্তব্য করেন কর্নেল উসমান।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২, অক্টোবর ৩০, ২০১০