ঢাকা: ‘বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ রাখতে এবং সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট অঙ্গন রাজনীতিমুক্ত রাখার লক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে পদত্যাগ করেছি। ’ এ দাবি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার।
শনিবার বিএনপি পন্থি আইনজীবীদের ওই ফোরাম থেকে পদত্যাগের পর বাংলানিউজকে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ দাবি করেন।
ব্যারিস্টার হুদা বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এখানে রাজনীতিমুক্ত পরিবেশ থাকবে। মানুষ এ সর্বোচ্চ আদালত থেকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার যাতে পায় সেজন্য আমি নিরপেক্ষ আইনজীবীদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছি। এ লক্ষ্যেই আমি কাজ করে যাবো। ’
তিনি আরো বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালতে দলনিরপেক্ষ পরিবেশ থাকা উচিত। সেটা নেই। ’
নাজমুল হুদা বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এর আগে উচ্ছেদ নোটিস দেয় ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড। ওই নোটিস বৈধ বা অবৈধ সে লক্ষেই রায় হওয়া উচিত ছিলো। সেটা না হয়ে এক মাসের মধ্যে তাকে বাড়ি ছাড়ার নোটিস দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, এর পেছনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আছে। ’
আদালত প্রাঙ্গনে অনেক আইনজীবী পেশার চেয়ে দলীয় প্রভাবকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামও আদালতে নিরপেক্ষ বিচারের পরিবেশ বিঘিœত করছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের আচরণে কিছুটা ভুল আছে। উচ্চ আদালত অঙ্গনকে কলুষিত করা উচিত নয়। ’
প্রসঙ্গত, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উপদেষ্টা ছিলেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান নাজমুল হুদা। দেশের প্রধান দুটি দলের দুই নেত্রীকে এক সঙ্গে বসানোর পক্ষে জনমত গঠনে একটি বেসরকারি সংস্থার ব্যানারে ওই সফরে যান তিনি।
এ সফরের অংশ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই ও সৌদিআরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ঘুরে জনমত গঠনের লক্ষ্যে কাজ করেন নাজমুল হুদা।
সূত্র জানায়, গত বুধবার দেশে ফিরে আসলে পরদিন রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে নাজমুল হুদাকে ডেকে পাঠান।
সূত্রটি জানায়, বৈঠকে নাজমুল হুদার ওই উদ্যোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এসময় একটি বিশেষ সংস্থার হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ এনে তাকে সাবধান হওয়ারও নির্দেশ দেন খালেদা জিয়া।
এরই সূত্র ধরে নাজমুল হুদা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই ধারনা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১০