ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

শোষকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: দেলোয়ার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১০
শোষকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: দেলোয়ার

ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘নিপীড়িত, নির্যাতিত ও বঞ্চিতদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে শোষকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ’

শনিবার বিকেলে রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমবাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।



সিরাজগঞ্জে ট্রেন পোড়ানোর ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ও শ্রমিক দল সভাপতি নজরুল ইসলাম খানসহ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেনানিবাসের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা, আরাফাত রহমান কোকোর প্যারোল বাতিল, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নূর বাবু হত্যা, বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা-গ্রেপ্তার-নির্যাতন ইত্যাদির প্রতিবাদে এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়।

শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে খোন্দকার দেলোয়ার ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য এমকে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, ভাইসচেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, সাংগঠনিক সম্পদক মুজিবুর রহমান সরোয়ার এমপি, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জাফরুল হাসান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

খোন্দকার দেলোয়ার বলেন, ‘আর কতোকাল অপেক্ষা করে থাকবো? আমরা এ সরকারের অন্যায়-অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সরকার নির্যাতন আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই এ কর্মসূচির মধ্যে থাকতে চাচ্ছি না। ’

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, শিশু না কাঁদলে মা দুধ দেয় না। আমাদেরও বাঁচার জন্য চেষ্টা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উজ্জীবিত হয়ে আন্দোলন করে অধিকার আদায় করে নিতে হবে। ’

সরকার যেসব ওয়াদা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে সেগুলোর একটিও বাস্তবায়ন করেনি বলে অভিযোগ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের ৪০ শতাংশ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। তিন কোটি শিশু আছে দারিদ্রসীমার নিচে। প্রধানমন্ত্রীর এদিকে কোনো খেয়াল নেই। ’

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কার প্রতিনিধিত্ব করছেন? কার স্বার্থে কাজ করছেন? দেশের মানুষের জন্য তিনি কাজ করেন না। ভিক্ষা চেয়ে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসে জনগণের দিকে তার কোনো খেয়াল নেই। তার মায়াকান্না আমরা দেখি। তার চোখ থেকে পানি পড়তেও দেখি। কিন্তু অন্য মানুষের চোখ থেকে যে পানি পড়ে তা কি তিনি দেখেন না?’

সরকারের কাছে খোন্দকার দেলোয়ার প্রশ্ন তোলেন, ‘১৯৭২ এর সংবিধানে যা ছিলো তার কোনটা আপনারা এখন পর্যন্ত প্র্যাকটিস করেছেন?’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা (সরকার) যেভাবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন-মিথ্যা মামলা শুরু করেছে, তাতে অনেক মানুষের চোখে জল ঝরছে। এ দেশটায় তারা ছাড়া যেন আর কেউ থাকতে পারবে না। এজন্য কি এ দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। জুলুম-নির্যাতন-মিথ্যা মামলা কি স্বাধীনতার চেতনা ও গণতন্ত্রের নমুনা?’

টিকে থাকতে হলে আন্দোলন করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এমকে আনোয়ার তার বক্তব্যে বলেন, ‘এ সরকার ক্ষমতায় আসার ২২ মাসের মাথায় দেশটাকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য করে তুলেছে। প্রধানমন্ত্রীর কারণেই এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। শেখ হাসিনার ১২টাসহ হাজার হাজার সন্ত্রাসীদের মামলা প্রত্যাহারের কারণে আজ দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অননতি হয়েছে। ’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সব অপরাধ ও হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে বিচার করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।