ঢাকা: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলির সদস্য প্রবীণ রাজনীতিক আব্দুর রাজ্জাক স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে রক্ষা করতে নতুন প্রজন্মকে শপথ নেওয়ার আহ্বনা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতা খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজম ও তার সঙ্গীদের রক্ষায় নিজেই মাঠে নেমেছেন।
শুক্রবার পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে আওয়ামী শিশু-যুব সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত ও বিভিন্ন মহলের অভিমত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘স্বাধীনতার পর ভুট্টো এসে বলেছিলেন ভাইয়ে ভাইয়ে ফ্যাসাদ হয়েছিলো। এখন খালেদা জিয়া বলছেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলে আবার হানাহানি হবে। তার মানে তিনি মুক্তিযুদ্ধকে হানাহানি বলছেন। ’
জামায়াত নেতা আজাহারুল ইসলাম বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে যুদ্ধ করার হুমকি দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা মুক্তিয্দ্ধু করে দেশ স্বাধীন করেছি। আবার যদি যুদ্ধ করতে হয় তাহলে সেটা হবে বাংলাদেশকে রক্ষার যুদ্ধ। নতুন প্রজন্মকে এই শপথ নিতে হবে। আমরা নতুন প্রজন্মের হাতে দেশের স্বাধীনতা, পতাকা তুলে দিয়েছি। নতুন প্রজন্ম ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতা বিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্র মোকবেলা করে দেশকে রক্ষা করবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছেন, তাদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। যদিও জিয়ার মুক্তিযুদ্ধ করার ইচ্ছা ছিলো না। তিনি বাধ্য হয়ে যুদ্ধে গিয়েছিলেন। আজ তার স্ত্রী খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় মাঠে নেমেছেন। ’
আলোচনা সভায় আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এই যুদ্ধ শুরু করেছি। এই যুদ্ধে জয়ের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ৪০ বছর পর বিচার হচ্ছে তাই তথ্য প্রমাণ ও সাক্ষ্য সংগ্রহ করতে কিছুটা সময় লাগছে। দ্রুতই বিচার শুরু করা হবে।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাংবাদিক নঈম নিজাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় ২০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১০