ঢাকা: এবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে পদত্যাগী স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদকে (সোহেল তাজ)। বুধবার সোহেল তাজের নির্বাচনী এলাকা ও সচিবালয়ে এ নিয়ে জোর গুঞ্জন ছিল।
‘সোহেল তাজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন’ এ কথা আলোচনা হয় সচিবালয়েও।
কেউ কেউ সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন, এ ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য তাদের কাছে আছে কিনা।
এদিকে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, তানজিম আহমেদ সোহেল তাজকে মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে আনতে চান প্রধানমন্ত্রী নিজেই। আর সে কারণেই এখন পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তার নাম বহাল রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইট www.cabinet.gov.bd-এ তানজিম আহমদের (সোহেল তাজ) নাম দপ্তরবিহীন প্রতমন্ত্রী হিসেবেই লেখা রয়েছে।
সোহেল তাজ দেশে সম্প্রতি ফেরার পর এখন নিজ নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করছেন। এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সময় দিচ্ছেন। সর্বশেষ সংসদের অধিবেশনেও যোগ দেন গাজীপুর- ৪ (কাপাসিয়া) আসন থেকে নির্বাচিত এই তরুণ সাংসদ।
সূত্র জানায়, তার এসব ইতিবাচক তৎপরতা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নজর কেড়েছে। দেশের বাইরে তার ব্যক্তি-ইমেজকে কাজে লাগানোর কথাও ভাবা হচ্ছে। এজন্য তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এটা মাথায় রেখে সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন করে রাখা হয়েছে। ’
সূত্রটি আরও জানায়, সোহেল তাজের পক্ষ থেকে সম্মতি না পাওয়াতেই বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। এ জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে তার সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। তার তরফ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
গত ২৪ আগস্ট সোহেল তাজকে দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে তিনি পদত্যাগ করলেও সরকারের নথিপত্র ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে তানজিম আহমদ সোহেল তাজের নাম স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবেই ছিল। নতুন নিয়োগের দিন থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে তাকে`দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী` হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।
গতবছর ৩১ মে ও ১ জুন দু’দফায় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে সাংবাদিকদের কাছে ঘোষণা দেন সোহেল তাজ। পদত্যাগের পরও তিনি ৮ জুন অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে যোগ দেন। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথমবার গত ২৭ জানুয়ারি দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে তাকে প্রতিমন্ত্রীর প্রটোকল দেওয়া হলেও তিনি তা নেননি। তার জন্য নির্ধারিত সরকারি গাড়িতেও চড়েননি। তার নির্বাচনী এলাকায় প্রটোকল দেওয়া হলেও তিনি তা নিতে রাজি হননি। সরকারের দেওয়া বেতন-ভাতা এবং সুযোগ-সুবিধার কোনোটাই নিচ্ছেন না স্বাধীন বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান, যেভাবেই হোক সোহেল তাজকে মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে আনতে।
সূত্র জানায়, অনেকটা অভিমান করেই মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন সোহেল তাজ। সেকথা প্রধানমন্ত্রীরও জানা। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, কোনো এক সময় সোহেল তাজের অভিমান ভাঙবে। এ কারণেই তাকে মন্ত্রিসভায় সংযুক্ত রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘন্টা, অক্টোবর ২০, ২০১০