ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বৃহস্পতিবার লন্ডনে টাওয়ার হ্যামলেটস এর মেয়র নির্বাচন

সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১০

লন্ডন: লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস এর প্রথম নির্বাহী মেয়র নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা এরই মধ্যে তাদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ করেছেন।



বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু করে রাত ১০টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। এরপর টাওয়ার হ্যামলেটস বারার মোট ১১৯টি ভোট কেন্দ্রের সব ফলাফল বাঙালি অধ্যুষিত বেথনালগ্রীনের ইয়র্ক হলে নিয়ে এসে গণনা করা হবে।

প্রার্থীদের এজেন্ট ছাড়াও অনুমতিপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা ভোট গণনা পর্যবেণ করবেন। বাংলানিউজ প্রতিনিধিসহ সিনিয়র বাংলাদেশি সাংবাদিক ও অন্যান্য মূলধারার সাংবাদিকদের কাছে এরই মধ্যে অনুমতি পত্র পৌঁছানো হয়েছে।

আশা করা হচ্ছে- লন্ডন সময় শেষ রাতের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা লেবার পার্টির প্রার্থী হেলাল আব্বাস ও সদ্য লেবার পার্টি চ্যূত স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফুর রহমানের মধ্যে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কনজারভেটিব, লিবারেল ডেমোক্রেট ও  গ্রীন পার্টিও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

এদিকে দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে ইসলামিক চরমপন্থিদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে অভিযুক্ত একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে ব্রিটিশ রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন লন্ডনের সাবেক মেয়র ও আগামী মেয়র নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী কেন লিভিংস্টোন। সোমবার সদ্য লেবার পার্টিচ্যূত একজন স্বতন্ত্র মেয়রের পে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে তিনি লেবার পার্টি সমর্থকদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন।

আগামী লন্ডন মেয়র নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী হয়েও তিনি দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কিভাবে প্রচারণায় অংশ নিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ব্রিটিশ রাজনৈতিক পর্যবেকরা।

কেন লিভিংস্টোনের এই ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী ও লেবার পার্টি নেতা জিম ফিটজপেট্রিক বলেছেন, ‘পার্টির উচিত কেন্ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

ব্রিটিশ রাজনীতির প্রতি যারা নিয়মিত ল্য রাখেন তাদের কেউ কেউ বলছেন, বাম ধারার নেতা বলে পরিচিত কেন্ লিভিংস্টোন আগামী লন্ডন মেয়র নির্বাচনে মৌলবাদীদের ভোট লাভের আশায় পার্টি বিরোধী এই ভূমিকা রাখছেন।

বেশ কয়েকজন লেবার পার্টি সমর্থক বাংলানিউজকে জানান, কেন্ বার বার পার্টির সিদ্ধান্ত বিরোধী কাজ করেন, যা নীতি নৈতিকতা বিরোধী।

তারা জানান, ইরাক যুদ্ধ ইস্যুকে সামনে রেখে তিনি পার্টি থেকে বেরিয়ে গিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে লন্ডন মেয়র হয়েছিলেন। সেটি ছিল বাঙালিসহ যুদ্ধবিরোধী ভোটারদের আবেগের ফল। এই আবেগকে যদি কেন্ মনে করেন তাঁর প্রতি সব সময়ের অন্ধ সাপোর্ট তাহলে ভুল করবেন। আগামী লন্ডন মেয়র নির্বাচনে লেবার পার্টির জন্য কেন্রে পার্টি বিরোধী এই ভূমিকা নেতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে বলেও ব্রিটিশ রাজনৈতিক পর্যবেকরা মনে করছেন।

কেন্ লিভিংস্টোনের পার্টি বিরোধী অবস্থানে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে লেবার পার্টি সমর্থক সুরমান আলী বাংলানিউজকে বলেন, ‘যত দোষ আমাদের বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের রাজনীতিকদের। মতা ও ভোটের রাজনীতিতে সুবিধার জন্যে তারা নাকি নিজ বিশ্বাস ও আদর্শের সঙ্গে বেঈমানী করেন। এখন দেখি ব্রিটেনের মতো দেশের রাজনীতিকরাও এ থেকে পিছিয়ে নেই, যার প্রমান দিলেন কেন্ লিভিংস্টোন। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।