ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

৯৫ শতাংশ মানুষ সরকারের বিপক্ষে: রিজভী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
৯৫ শতাংশ মানুষ সরকারের বিপক্ষে: রিজভী

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, চর দখলের মতো রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে জনগণকে ক্রীতদাসে পরিণত করার চক্রান্ত চলছে।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারি গণবর্জিত ডামি নির্বাচনের পর দেশ এক গভীর সংকটে পতিত হয়েছে। চিহ্নিত কতিপয় পুলিশ, আমলা, আর সরকারি দলের টাকা পাচারকারী সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজ মাফিয়া চক্র ছাড়া দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ এ সরকারের নেতৃত্বাধীন অবৈধ সরকারের বিপক্ষে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা ব্যতিত প্রতিটি মানুষ আজ নিরাপত্তাহীন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। মানুষের জান-মাল ও জীবন-জীবিকার কোনো নিরাপত্তা নেই। নারী-শিশু নির্যাতন ভয়ানক আকার ধারণ করেছে। নতজানু সরকারের কারণে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এখন হুমকির মুখে পড়েছে।

দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ অবস্থায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানান রিজভী।

তিনি বলেন, সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি লুটপাট আর টাকা পাচারের কারণে দেশে অর্থনৈতিক সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। ব্যাংকগুলো প্রায় দেউলিয়া। একদিকে ডলার সংকট অন্যদিকে তারল্য সংকটে বিপর্যয়ে পড়েছে ব্যাংকিং খাত। আওয়ামী দুর্নীতিবাজ চক্র দেশে-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুললেও অর্ধাহারে অনাহারে সারাদেশের অধিকাংশ মানুষ। কয়েক দিন পরেই পবিত্র রমজান। অথচ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলছে। অথচ কুইক রেন্টালের নামে দুর্নীতিবাজ এ সরকারের লোকজন দেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, সুপরিকল্পিত সেনা হত্যাযজ্ঞের পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এখন হুমকির সম্মুখীন। অস্তিত্ব সংকটে বাংলাদেশ। অরক্ষিত দেশের সীমান্ত। দেশটাকে নিয়ে ভাগবাটোয়ারার হাট বসেছে। ২০১৭ সালে থেকে আজ ২০২৪। এত বছরেও বাংলাদেশে আশ্রিত ১৩ লাখ রোহিঙ্গার একজনকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি। অথচ গৃহযুদ্ধে লিপ্ত মিয়ানমার সামরিক জান্তার তিন শতাধিক সেনা কয়েক দিন আগে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার দু' তিন-দিন পরই তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, মিয়ানমারের তিন শতাধিক সেনা ফেরত পাঠানো গেলেও গত ছয় বছরেও একজন রোহিঙ্গাকেও কেন মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি।

প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, কারা কী করছেন, কেউ কিন্তু পার পাবেন না। সব কিছু লিপিবদ্ধ হচ্ছে। অমানবিক কার্যকলাপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নুল আবদীন ফারুক, সহঅর্থ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন ও নির্বাহী কমিটির সদস্য তরিকুল আলম তেনজিং।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
টিএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।