ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে মহাষড়যন্ত্র চলছে: আবদুর রাজ্জাক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১০
যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে মহাষড়যন্ত্র চলছে: আবদুর রাজ্জাক

ঢাকা: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে মহাষড়যন্ত্র চলছে। যুদ্ধাপরাধীরা আজ অনেকটা সংগঠিত।

কারণ সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় আমরা আঘাত করতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা। ’

তবে কোনও ষড়যন্ত্রই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া ভণ্ডুল করতে পারবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

‘একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আবদুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।

সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলন সোমবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ বৈঠকের আয়োজন করে।

আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‘মহাজোটের নির্বাচনি ওয়াদা ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা। এটা কোনও দল বা ব্যক্তির দাবি নয়, এটা জনতার দাবি। জনগণ তিন-চতুর্থাংশ ভোট দিয়ে এই বিচারকে বৈধতা দিয়েছে। ’

সম্প্রতি একটি জরিপের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৮৮ শতাংশ লোক এই বিচার চায়। কিন্তু খালেদা জিয়া চান না। ’

সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চারদলীয় জোট ইতিহাসকে বিকৃত করছে। তারা মুজিবনগর সরকারকে অস্বীকার করে। মুজিবনগরের ইশতেহারকে অস্বীকারের অর্থ বাংলাদেশকে অস্বীকার করা। ’

ইতিহাস বিকৃতি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা চারদলীয় জোটের ধারাবাহিক মহাষড়যন্ত্র বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলামকে জ্ঞানপাপী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সঠিক ইতিহাস জানা সত্ত্বেও তিনি (রফিকুল) মুক্তিযুদ্ধকে কিভাবে ভারত-পাকিস্তানের গোলমাল বলতে পারলেন?’

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার এক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) কিভাবে মুক্তিযুদ্ধকে হানাহানি বলেন? তার কথায় জুলফিকার আলী ভুট্টোর সুর পাওয়া যায়। ভুট্টোও মুক্তিযুদ্ধকে ভাইয়ে ভাইয়ে হানাহানি বলেছিলেন। ’

বৈঠকে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ বলেন, ‘নির্বাচনি ইশতেহারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। তাই এ বিচারের ক্ষেত্রে কোনও অবহেলা করলে ষড়যন্ত্রকারীদের পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালের সদস্যদেরও বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। ’
 
গোলাম আযম ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ‘চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী’ উল্লেখ করে তাদের এখনও বিচারের বাইরে রাখার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক গোলাম কুদ্দুস সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বিএমএনেতা ডা. কামরুল হাসান খান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ চৌধুরী, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি ফজলুল হক খান ফরিদ, পথনাটক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক মতিন ভূঁইয়া প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, ১৮ অক্টোবর, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।