ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

টাওয়ার হ্যামলেটস মেয়র নির্বাচনে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে জামায়াত

সৈয়দ আনাস পাশা, লন্ডন করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১০
টাওয়ার হ্যামলেটস মেয়র নির্বাচনে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে জামায়াত

লন্ডন: নির্বাচনী প্রচারণার নিয়মনীতি উপো করে লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস’র মেয়র নির্বাচনে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে নেমেছে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থনপুষ্ট মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মৌলবাদী সংগঠনগুলো।

জামায়াত সমর্থক সদ্য লেবারপার্টির দলচ্যুত এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর পে প্রচারণা চালাচ্ছে তারা।

সেইসঙ্গে অপব্যবহার করছে ইসলাম ধর্মেরও। এতে লন্ডনের প্রবাসী বাঙালিদের পাশাপাশি ব্রিটিশ জনগণও বিষয়টি নিয়ে বিব্রত।

ব্রিটেনের প্রখ্যাত সাংবাদিক অ্যান্ড্রু গিলিগান তার ডেইলি টেলিগ্রাফ ব্লগে মৌলবাদীদের অপপ্রচারে কিছু বাংলা প্রচার মাধ্যম ব্যবহৃত হচ্ছে বলে তীব্র সমালোচনা করেন।

লেবার পার্টির মেয়র প্রার্থী কাউন্সিলার হেলাল আব্বাসের বিজয় ঠেকাতে মৌলবাদী জামায়াত সমর্থকরা পবিত্র কাবা শরিফের ইমামের নামেরও যথেচ্ছ অপব্যবহার করছে।

শুধু তাই নয়, লেবার প্রার্থীর ঠেকাতে তারা চরম বর্ণবাদী সংগঠন ব্রিটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (বিএনপি) সঙ্গেও গোপন যোগাযোগ শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বাঙালি মুসলমানসহ অন্যান্য ভাষা-ভাষী মুসলমান ভোটারদের মনোযোগ কাড়তে বাংলাদেশ সরকারকে ইসলাম ধ্বংসের বিদেশি এজেন্ট হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে জামায়াত ও হিযবুত তাহরীরের লন্ডন কর্মীরা। সেইসঙ্গে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্যে বিশ্ব মুসলিম সম্প্রায়ের প্রতিও আহ্বান জানাচ্ছে।

ব্রিটেনে আইনি বাধ্য বাধকতা থাকায় প্রকাশ্য সমাবেশগুলোতে এ ধরনের অপপ্রচার না করে তারা ছোট ছোট গ্র“প মিটিং ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের কাছে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।

বোরকাপরা মহিলাদের নামানো হয়েছে ডোর টু ডোর ক্যাম্পেইনে।

বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর ইউরোপীয় সংস্করণ নামে পরিচিত একটি সংগঠন বেনামে এসব অপপ্রচারের নেতৃত্ব দিচ্ছে।

কয়েক মাস আগে চ্যানেল-৪ এ প্রচারিত ডক্যুমেন্টারিতে লেবার পার্টিতে অনুপ্রবেশ করা ওই দলটির প্রতিনিধি হিসেবে যার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছিল, স্থানীয় জামায়াত সমর্থক ও অন্যান্য মৌলবাদী সংগঠনের সমর্থকরা তাকেই এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে মেয়র পদের জন্যে লড়ছেন। বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরীরও অনানুষ্ঠানিকভাবে ওই প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে ভোটের রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা চালানোর দলীয় নিয়ম না থাকায় অনানুষ্ঠানিকভাবে এ প্রচারণা চালাচ্ছে তারা।

হিজবুত তাহরীরের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্বের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক এক স্পিকারের ছেলেও রয়েছেন।

স্থানীয় বাঙালি ভোটাররা ছাড়াও সম্প্রতি টাওয়ার হ্যামলেটসের ক্রম বর্ধিষ্ণু সোমালিয়ান কমিউনিটির মুসলিম ভোটারদের দ্বারে দ্বারেও উপস্থিত হচ্ছেন জামায়াত সমর্থকরা।

মুসলিম ভোটারদের বোঝানো হচ্ছে- ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান ও ইরাকসহ বিশ্বের যেসব দেশে আজ ইসলাম বিপন্ন তাদের সঙ্গে নতুন যোগ হয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ‘ইসলামবিরোধী আন্তর্জাতিক শক্তির এজেন্ট’ হিসেবেই মতায় এসেছে। মতায় এসেই এ সরকার ‘৩৯ বছরের পুরনো ঘটনা নিয়ে যুদ্ধাপরাধ ইস্যু তৈরি করে বাংলাদেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মূল নেতাদের নিশ্চিহ্ন’ করার উদ্যোগ নিয়েছে।

নির্বাচনী প্রচারে সম্প্রতি হিজবুত তাহরীর নেতাদের হয়রানির বিষয়টি উদাহরণ হিসেবে অবাঙালি মুসলিম ভোটারদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারে জামায়াত সমর্থকরা মুসলিম ভোটারদের বলছেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে ইসলাম ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে।

সেইসঙ্গে সারা বিশ্বে যেসব দেশে ইসলামের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চলছে, তার প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যে উচ্চ পর্যায়ের ব্রিটিশ পদগুলোতে সাচ্চা মুসলমান প্রতিনিধি পাঠাতে হবে বলেও নানা প্ররোচনা দিচ্ছে।

টাওয়ার হ্যামলেটস’র মেয়র পদটিকে এজন্য টার্গেট করেছে তারা। আর এ কারণেই স্থানীয় মুসলিম জনগোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধ হয়ে একজন খাটি মুসলমান প্রার্থীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করে তার পে মাঠে কাজ করছে তারা।

বাঙালি কমিউনিটির সচেতন মহলে অভিযোগ উঠেছে, জামায়াত সমর্থকরা মুসলিম ভোটারদের সামনে বাংলাদেশকে এমনভাবে ইসলামের শত্র“ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন যাতে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশকে বেছে নেয়।

বাংলাদেশকে আল কায়েদাসহ আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের টার্গেট করতে জামায়াত লন্ডনভিত্তিক সুদূর প্রসারী ষড়যন্ত্র করছে বলেও কমিউনিটির অনেকের মধ্যে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেইনের আরেকটি অংশ হিসাবে জামায়াত কৌশলে টাওয়ার হ্যামলেটস’র এ নির্বাচনকে বেছে নিয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরা মনে করছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে তাদের দোসররা যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে, তা আজ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অংশ হিসেবে লন্ডনেও বিস্তৃত। ব্রিটিশ রাজনীতি ও প্রশাসনেও যুদ্ধাপরাধীদের ওসব দোসররা তাদের ষড়যন্ত্র বিস্তৃত করতে চায়। আর তাই টাওয়ার হ্যামলেটস’র আসন্ন মেয়র নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা কমিউনিটিকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।

তারা আরও মনে করছেন, ব্রিটিশ মূলধারার রাজনীতিতে যখন বাঙালিরা শক্ত অবস্থান নিতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই বাঙালিবিরোধী ওই অপশক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থির নামে কমিউনিটিকে বিভক্ত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। ঠিক যেভাবে ২০০৫ সালে রেসপেক্ট নামক একটি দল ও তার নেতাকে নিয়ে কমিউনিটিকে বিভক্ত করার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছিল।

তারা বলেছেন, ২০০৫ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে আবেগের বশবর্তী হয়ে লেবার পার্টিকে পরাজিত করে বাঙালি যে ভুল করেছিল, দীর্ঘ ৫ বছর খেসারত দেওয়ার পর ২০১০ সালের নির্বাচনে রোশনারা আলীর বিজয়ের মাধ্যমে সে ভুলের সংশোধন হয়েছে।

বাঙালি এখন এগিয়ে চলছে মূলধারায় কমিউনিটির চূড়ান্ত সাফল্য অর্জনের ল্েয নিয়ে। মূলধারার রাজনীতির সঠিক পথে থেকে বাঙালির নতুন প্রজন্ম থেকে আরও শ’ শ’ রোশনারা তৈরির সময় এখন। এ মুহূর্তে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়াজ তুলে যারা বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছেন তারা কমিউনিটি নয়, নিজেদের ব্যক্তি বা গোষ্ঠিগত স্বার্থ হাসিলের কোনও মিশন নিয়েই মাঠে নেমেছেন বলে তাদের অভিযোগ।

বিশ্লেষকদের আশঙ্কা- কমিউনিটির সামনে খুব কঠিন সময়।

তাই বিশ্ব বাস্তবতায় নতুন প্রজন্মকে তীব্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে হবে। নতুন প্রজন্মের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে এ মুহূর্তে কোনও স্বতন্ত্র বা ছোট ছোট বিভক্তি নয়, প্রয়োজন বিশাল অবলম্বন।

এ অবলম্বন হতে পারে মূলধারার রাজনৈতিক দল লেবার পার্টি। ঐতিহ্যগত বন্ধু লেবার পার্টির সঙ্গে বাঙালির দূরত্ব সৃষ্টির ল্য নিয়েই মৌলবাদী শক্তিগুলো কৌশলে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে এবার মাঠে নেমেছে বলে ধারণা রাজনীতি বিশ্লেষকদের।

বিগত পার্লামেন্ট নির্বাচনে ওই শক্তি লেবার প্রার্থী রোশনারা আলীর বিরুদ্ধে যেভাবে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছিল, মেয়র নির্বাচনেও এভাবেই এবার মাঠে নেমেছে।
 
এদিকে, জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের নতুন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় লেবার পার্টির প্রার্থী হেলাল আব্বাসের পে জোরেশোরে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের পরে কমিউনিটির নেতারা।

প্রায় প্রতিদিন লেবার পার্টির সাবেক মন্ত্রী ও তারকা নেতারা নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে টাওয়ার হ্যামলেটস সফর করছেন।
রাজনৈতিক পর্যবেকরা বলছেন, আসন্ন এই নির্বাচন বাঙালি কমিউনিটির জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত  গ্রহণের সুযোগ। এ নির্বাচনে বিজয়ী প্রথম নির্বাহী মেয়র হবেন বারার মূল নির্বাহী মতার অধিকারী এবং তার কর্মকাণ্ডের ওপরই নির্ভর করবে কমিউনিটির ভবিষ্যৎ।

বিশিষ্ট সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, হাজার বছরের ঐতিহ্য অসাম্প্রদায়িক বাঙালিয়ানা পরিচয় নিয়ে ব্রিটিশ বাঙালিরা এখানে কতটুকু টিকে থাকবেন এটি নির্ভর করছে আসন্ন নির্বাচনে টাওয়ার হ্যামলেটস’র মেয়র পছন্দের ওপর।

কারণ হিসাবে তিনি বলেন, ‘টাওয়ার হ্যামলেটসকে শুধু বিলেতের অন্যান্য বারার মতো একটি বারা হিসেবেই আমাদের দেখলে চলবে না, এ বারা বিলেতে বাঙালির আত্মপরিচয়ের প্রতীক। ব্রিটিশ জনগণ টাওয়ার হ্যামলেটস বলতে বাঙালি কমিউনিটিই মনে করে। আর তাই এ বারার প্রথম নির্বাহী মেয়র যিনি হবেন, তিনি শুধু বারার মেয়রই নন, বাংলা, বাঙালি ও বাঙালি সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবেও পরিচিত হবেন। ’

‘এত্রে এমন একজনকে মেয়র বেছে নিতে হবে, যিনি, হৃদয়ে বাঙালিত্ব ধারণ করেন, যিনি বিশ্বাস করেন বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং সর্বোপরি যিনি নিজেকে বাঙালি পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন। ’ বলেন গাফ্ফার চৌধুরী।

বিশিষ্ট রাজনীতিক ও আওয়ামী লীগ নেতা হরমুজ আলী বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিগত কয়েক বছর ধরে লেবার পার্টির মুখোশ নিয়ে ধর্মান্ধ জঙ্গি সমর্থকদের পুতুল কাউন্সিল নেতৃত্ব ধর্মভীরু উদার বাঙালি মুসলমানদের বাঙালি পরিচয় হননের যে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, সে ষড়যন্ত্রের ধারা বন্ধ হবে, না কি অব্যাহত থাকবে তা নির্ভর করছে নতুন মেয়র কে আসছেন তার ওপর। ’

তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ‘বাঙালি সংস্কৃতি’ কাউন্সিল পৃষ্ঠপোষকতা থেকে আর কত বঞ্চিত থাকবে এটির জবাবও মিলবে নির্বাচনী ফলাফলের ওপর।

বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু মুসা হাসান বলেন, ‘টাওয়ার হ্যামলেটস প্রথম নির্বাহী মেয়র নির্বাচনে আমাদের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। এগুলো হলো বিলেতে বাঙালির চিরায়ত সাংস্কৃতিক উৎসব বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠান অব্যাহত থাকবে, না তা বন্ধ হয়ে শুরু হবে মৌলবাদীদের মস্তিষ্কপ্রসূত কমিউনিটি ফেয়ার?’

 তিনি বলেন, ‘বাংলাটাউন নাম কি মুছে দেবে উগ্র ধর্মান্ধতার প্রতীক হিজাব গেইট? বাঙালি মুসলমানরা কি পরিচিত হবে আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদের দোসর ধর্মান্ধ জাতি হিসেবে? এসব প্রশ্নের উত্তর আমাদের খুঁজতে হবে আসন্ন মেয়র নির্বাচনে। সুতরাং এ নির্বাচন টাওয়ার হামলেটস’র ব্রিটিশ বাঙালিদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই আমি মনে করি। ’
 
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী মোট ৭৬টি ভাষা-ভাষীসমৃদ্ধ ৮ স্কয়ার মাইল আয়তনের লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস বারার লোকসংখ্যা ২ লাখ, ১৫ হাজার ৩শ’।

এর মধ্যে ৪৯ শতাংশ মানুষ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। মোট জনসংখ্যার ৩৩ শতাংশ বাঙালি। জনসংখ্যার ৭০ শতাংসের বয়স ৩০ বছরের নিচে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।