ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ওপরে স্বপন, নিচে শামিম

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের আগেই দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।  

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।


 
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারি বিকেলে কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হয়। এ অনুষ্ঠানে মঞ্চে ওঠা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা ইমন নিজামী ও শাহাবুদ্দিন দাড়িয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে এ দুই নেতার সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে ইমন নিজামী, শাহাবুদ্দিন দাড়িয়াসহ পাঁচজন আহত হন।  

এ ঘটনায় ইমন নিজামীর ভাই আলী হাসান রিফাত গত ১ ফেব্রুয়ারি বাদী হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়াসহ ছাত্রলীগের ১৮ নেতাকর্মীকে আসামি করে কোটালীপাড়া থানায় মামলা করেন।  

এছাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়ার বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামে ছাত্রলীগের একাংশ। এসব কারণে কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন সাধারণ নেতাকর্মীরা।
এর আগে গত বছরের ২৯ জুলাই কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি স্বপন তালুকদারকে সভাপতি ও সাবেক জিএস শামিম দাড়িয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। দীর্ঘ সাত মাস অতিবাহিত হলেও এ কমিটি কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি।  

কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মাইনুল হোসেন রিমু বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়ার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে এ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।  

সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়া বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি আমাদের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে বলে আমি শুনেছি। তবে কেন করেছে, তা আমার জানা নেই। আমাদের কোনো ভুল থাকলে সে বিষয়ে জেলা বা কেন্দ্রীয় কমিটি কারণ দর্শানো নোটিশ দিতে পারত, কিন্তু তা দেয়নি। কেন্দ্রীয় কমিটি যদি সত্যিই আমাদের কমিটি বিলুপ্ত করে থাকে, তাহলে আমি বুঝে নেব আমরা দুজন অপরাজনীতির শিকার।  

গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমীর হামজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, সম্প্রতি উপজেলা ছাত্রলীগ তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ নিয়ে মামলাও হয়েছে। যা কাম্য নয়। সংগঠনকে গতিশীল করতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আমার ধারণা।
 
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা ফোনে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমার কোনো আলোচনা হয়নি। তাই বিষয়টি আমার জানা নেই।
 
এ বিষয়ে জানার জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগে সাংগঠনিক গতিশীলতা আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের আগামী দিনের রাজনীতি হবে ছাত্রলীগের জন্য একটি সাংগঠনিক মডেল উপজেলা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।