ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

সরকার সিরাজগঞ্জে বাকশাল কায়েম করে ফেলেছে: টুকু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১০
সরকার সিরাজগঞ্জে বাকশাল কায়েম করে ফেলেছে: টুকু

ঢাকা: ‘সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতাদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী পুলিশ একের পর এক বিএনপির নেতাকর্মী ও নিরীহ মানুষকে গ্রেপ্তার করে যাচ্ছে। সেখানে সরকারদলীয় লোকজন ও পুলিশের আচরণ ’৭১ ও ’৭৫-এর পরের অবস্থাকেও হার মানিয়েছে।



সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সোমবার দুপুরে তার মোহাম্মদপুরস্থ বাসভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘সরকার সিরাজগঞ্জে বাকশাল কায়েম করে ফেলেছে। এভাবেই ধীরে ধীরে সারাদেশে বাকশাল কায়েমের দিকে এগুচ্ছে সরকার। ’

সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘সিরাজগঞ্জে বিএনপির গণজমায়েত ভণ্ডুল করার জন্যই মহাসমাবেশে ট্রেন উঠিয়ে দিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এটি পুরোপুরি সরকারের ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। ’

তিনি বলেন, ‘সরকার ষড়যন্ত্র করে শুধু মানুষ হত্যাই করেনি, হত্যার পর মিথ্যা মামলা দিয়ে সিরাজগঞ্জের বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িছাড়া করেছে। জেলার বিএনপিসমর্থক ও নিরীহ মানুষের প্রতিটি বাড়িতে পুলিশ এখন অভিযান চালিয়ে হয়রানি করছে। যাদের পেয়েছে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের বাসায় এখন বাজার করারও মানুষ নেই। ’

এ সুযোগে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিএনপি সমর্থকদের বাসায় লুটপাট চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন টুকু।

বিএনপি থেকে জাতীয় সংসদের টিকিট পাওয়া  স্থানীয় সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদের এপিএস ও চালককেও গ্রেপ্তারের হুমকি দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকারের বেপরোয়া আচরণের ফলে একজন সংসদ সদস্যও তার বাসায় বাজার করার মতো লোক পাচ্ছেন না। ’

জেলা বিএনপি’র সভাপতি আরও বলেন, ‘সরকার সিরাজগঞ্জে ভয়াবহ অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এটা পরিকল্পিত। সমাবেশের ভেতর দিয়ে ট্রেন চালিয়ে মানুষ হত্যা করে ও ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দিয়ে সরকার তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। ’

ওই এলাকার পুলিশবাহিনী রক্ষীবাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সমাবেশের জন্য প্রশাসনের সব ধরনের অনুমতি নেওয়া ছিল। সরকার এখন মিথ্যা বলছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে সমাবেশ করবেন তা সারাদেশের মানুষই জানেন। ডিসি-এসপিকেও জানানো হয়েছে। ’

সিরাজগঞ্জের দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’। এর জবাবে ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, ‘তা তো বটেই। তা না হলে এতগুলো মানুষ মরবে কেন, সরকারি সম্পদের ক্ষতি হবে কেন আর জেলায় এমন ভীতিকর পরিবেশই-বা সৃষ্টি করা হবে কেন। ’

এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগমীর, সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী ও নাটোর বিএনপির সভাপতি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, ১৮ অক্টোবর, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।