ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

২৬-২৭ ডিসেম্বর গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগ-বিক্ষোভ মিছিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
২৬-২৭ ডিসেম্বর গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগ-বিক্ষোভ মিছিল

ঢাকা: সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি জানিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, নতুবা গণআন্দোলনের মুখেই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। অতীতের স্বৈরাচারীদের পরিণতি এই সরকারকেও বরণ করতে হবে।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ আহ্বানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। এ সমাবেশ থেকে আগামী ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর গণসংযোগ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। সমাবেশে ব্ক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম। সভা পরিচালনা করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী।

সমাবেশ শেষে একটি মিছিল প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে পুরানা পল্টন, বিজয়নগর হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় পথচারীদের মধ্যে প্রচারপত্র বিলি করেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে একতরফা নির্বাচন করার জন্য নির্বাচনের আগেই সন্ত্রাস করে, ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে, হাজার হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে করাগারে বন্দি করেছে। এরপর নিজেদের মধ্যেই খেলা আয়োজন করেছে। আমরা আর মামুদের এই খেলাতেও আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস ঠেকাতে পারছে না। নিজেদের মধ্যেই মারামারি করছে, কুপিয়ে হত্যা করছে। ইতোমধ্যে ৪৮টি স্থানে সহিংসতায় ২ জন মারা গেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি আসতে আর কত রক্তক্ষয় হবে, তা বলা মুশকিল। তাহলে বিরোধীদল মাঠে থাকলে কী পরিস্থিতি হতো সেটা সহজেই অনুমেয়।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা আরও বলেন, এই একতরফা তামাশার পাতানো নির্বাচন দেশের জন্য বিপজ্জনক ভবিষ্যৎ ডেকে আনছে। তারপরও সরকার এই পাতানো নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

তারা বলেন, গত ১৫ বছরে শুধু আমদানি রপ্তানির ভেতর দিয়ে ১২ থেকে ১৫ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। উন্নয়ন প্রকল্প যা হয়েছে তার প্রায় বিরাট অংশ লুট হয়ে গেছে। সিপিডির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এদেশের ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু লুট হয়ে গেছে। আর খেলাপি ঋণের পরিমাণ অন্ততপক্ষে ২ লাখ কোটি টাকা। এই লুটপাটতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্যই তারা এভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়। এই লুটতন্ত্র বন্ধ করতে হলে ৭ তারিখের তামাশার ভোট বন্ধ করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ৭ তারিখে যদি নির্বাচন হয় তার ফলাফল কী হবে তা সবার জানা, প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তাও সবার জানা। বিরোধী দল কে হবে তাও সবাই আগাম জানেন। তাহলে এই নির্বাচনের দরকারটা কী? দেড় থেকে ২ হাজার কোটি টাকা কেন খরচ করা? এটা অপচয়। রাষ্ট্রীয় পয়সা অপচয় করা পরিষ্কার অপরাধ।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দ বলেন, এখনো সময় আছে, অবিলম্বে এই একতরফা নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ করে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উদ্যোগ নিন। এবং সংবিধানের ১২৩ (৩)এর (খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নতুবা গণআন্দোলনের মুখেই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। অতীতের স্বৈরাচারীদের পরিণতি এই সরকারকেও বরণ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।