ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে অস্থিরতা সৃষ্টি করবেন না: খন্দকার মাহবুব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১০
আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে অস্থিরতা সৃষ্টি করবেন না: খন্দকার মাহবুব

ঢাকা: সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে অস্থিরতা সৃষ্টি করবেন না। সরকারকে মানতে হবে কোন সরকারই শেষ সরকার নয়।

রাজনৈতিক একটি বিষয় আদালতের বাইরে মীমাংসা করাটাই শ্রেয়।

শুক্রবার সমিতির সভাপতির কক্ষে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি সরকারের অত্যন্ত স্পর্শকাতর রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়াদি আদালতের অঙ্গনে মীমাংসার জন্য আসছে। এতে করে মনে হয়, সরকার আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে রাজনৈতিক বির্তকিত বিষয়গুলো নিজেদেরকে দোষমুক্ত রেখে আদালতের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। ’

খালেদা জিয়ার বাড়ির বিষয়টি উল্লেখ করে খন্দকার মাহবুব বলেন, আদালত আইনের মারপ্যাচে যে রায় দিয়েছে তাতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ ুব্ধ ও উত্তেজিত। তাই রায়টি আদালতের অঙ্গন ছেড়ে জনগনের অঙ্গনে চলে গিয়েছে। দেশে চরম অস্থির পরিবেশের সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। যা গণতন্ত্রের জন্য কোন অবস্থাতেই ইতিবাচক হবে না।


তিনি আরও বলেন, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের যে বাড়িটিতে বিরোধীদলীয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় ধরে বসবাস করছেন, সেই বাড়িটির সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে রণক্ষেত্রের মহানায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতি জড়িত। তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরও এ বাড়িতেই থেকেছেন। এমনকি নিহত হওয়ার পরও তার মরদেহ এ বাড়িতেই আনা হয়েছিল।   প্রায় ত্রিশ বছর পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আক্রোশের বশবর্তী হয়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বেগম জিয়াকে ঐ বাড়ি থেকে উচ্ছেদের নোটিশ প্রদান করে। এটা শুধু অনৈতিক নয়। মানবিক ও মূল্যবোধের বিরুদ্ধ।

আদালতের বাইরে কীভাবে মীমাংসা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফাঁসির আদেশ দেওয়ার পর যদি তাকে মাফ করে দেওয়া যায়, তাহলে দেশ ও জনগনের স্বার্থে সরকার যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। খালেদা জিয়াকে বাড়ি ছাড়ার যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে এখন যদি সেটা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় তাহলেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

রাজনৈতিক বিষয়ে আদালতকে যেন সিদ্ধান্ত নিতে না হয় সে আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের সর্বত্র এখন অস্থিরতা বিরাজ করছে, তাই অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে সরকারকে বলতে চাই আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে অস্থিরতা সৃস্টি করবেন না। উচ্চ আদালত ন্যায় বিচারের শেষ আশ্রয়স্থল।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বার সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, কামরুল ইসলাম সজল, মোরশেদ আল মামুনসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী।
 
বাংলাদেশ সময় ১৭৫০ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।