ঢাকা:পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে বিএনপি মরিয়া হয়ে উঠেছে। কারণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলে বিএনপি অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।
শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি মিলনায়তনে ‘জনতার প্রত্যাশা’ আয়োজিত ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ঐকমত্য: বাধা-প্রতিরোধ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
লতিফ সিদ্দিকী বলেন, খালেদা জিয়া ভালো করেই জানেন, তার দল জামায়াতের পকেটে ঢুকে গেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জামায়াত দুর্বল হলে বিএনপিও অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে। আর যাই হোক, ক্যান্টনমেন্টের সামরিক কাঁচি দিয়ে কাটা দল কখনো জনগণের রাজনীতি করতে পারে না। জঙ্গিবাদ ও যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিষ্ঠাই তাদের লক্ষ্য।
সিরাজগঞ্জের ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার রক্ত ও লাশের প্রয়োজন ছিল। জেলা প্রশাসক ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে সেদিন রেলওয়ের সংরক্ষিত এলাকায় সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করা ।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া তার স্বামীর রক্তের ওপর দিয়ে রাজনীতিতে এসেছেন। এ কারণেই লাশ ও রক্ত তার দরকার।
আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে খালেদার বাড়ি, তারেক-কোকোর প্যারোল রক্ষার রাজনীতি। তাদের দলের অনেক নেতার বিরুদ্ধেই মামলা রয়েছে। সে ব্যাপারে তাদের কোনো কথা নেই।
প্যারোল চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন তো নয়, এটি আবহমানকাল ধরে বলবৎ থাকবে। প্যারোলে থেকে বিদেশে বসে টেলিকনফারেন্স করবেন এটা কোনও নিয়মের মধ্যে পড়ে না।
সংগঠনের সভাপতি আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কৃষকলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুল হক রেজা, মহিলা লীগের আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক নুরজাহান বেগম মুক্তা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১০