ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

সরকার ফের প্রহসনের নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে: সিপিবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৩
সরকার ফের প্রহসনের নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে: সিপিবি

ঢাকা: গণদাবি ও জনমত উপেক্ষা করে সরকার ফের একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনের সামনে সিপিবি আয়োজিত পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সমাবেশে এসব কথা বলা হয়।

সিপিবির সমাবেশে নেতারা বলেন, একতরফা তকমা ঘোচাতে বিভিন্ন দল ও ব্যক্তিকে নির্বাচনে অংশ নিতে নানা অপকৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এসব কাজকর্ম যে এক কেন্দ্র থেকে পরিচালিত হচ্ছে, তা গোপন থাকছে না। এ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট দূর করবে না। বরং দেশ ও দেশের মানুষ নতুন সংকটে পড়বে। সরকারের স্বৈরাচারী, কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা বাড়বে। অর্থনৈতিক সংকট তীব্র হবে। এ সুযোগে সাম্রাজ্যবাদী, আধিপত্যবাদী শক্তি দেশের ওপর আরও হস্তক্ষেপ বাড়াবে। অন্ধকারের অপশক্তি অগণতান্ত্রিক অবস্থা তৈরির প্রচেষ্টা নেবে যা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশে কাম্য নয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ঢাকা উত্তরের সভাপতি ডা. সাজেদুল হক রুবেল, ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফিজুল ইসলাম। সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ।

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, টাকার খেলা-পেশী শক্তি, প্রশাসনিক কারসাজি ও সাম্প্রদায়িকতার প্রভাবমুক্ত ছাড়া নির্বাচনে সমসুযোগ থাকে না। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করতে জাতীয় সংসদে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি, ‘না’ ভোট, প্রতিনিধি প্রত্যাহারসহ নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করতে হবে।

সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আমরা নির্বাচন চাই। কিন্তু নির্বাচনের নামে ভুয়া, অবৈধ, প্রসনের নির্বাচন চাই না। কমিউনিস্ট পার্টি দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্রের নির্বাচন রুখে দেবে। দেশের বর্তমানে যে সংকট চলছে তার জন্য দায়ী বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার। তারা বলে, দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে সরকারের ধারাবাহিকতা দরকার। অর্থাৎ তারা আজীবন ক্ষমতায় থাকবে চায়। বাংলার জনগণ তা মেনে নেবে না।

সভাপতির বক্তব্যে শাহ আলম বলেন, রাষ্ট্র এবং সরকার একাকার হয়ে গেছে। আমাদের দেশের নব্বই ভাগ মানুষ দলীয় সরকারের অধীনে নিজের ভোট নিজে দিতে পারবে বলে মনে করে না। সরকার দেশকে আজ পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। ভোটে জিতবে না জেনে সরকার নানা বাহানা তৈরি করছে। মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিপিবি কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৩
আরকেআর/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।