ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

যুবদল নেতাকে না পেয়ে বড় ভাই আ.লীগ নেতাকে আটক করল পুলিশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
যুবদল নেতাকে না পেয়ে বড় ভাই আ.লীগ নেতাকে আটক করল পুলিশ

নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় যুবদলের এক নেতাকে ধরতে এসে তাকে না পেয়ে তার বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হোসেনকে (৪৮) আটক করেছে পুলিশ।  

বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী জানান, আটক মোশারফকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাকে আটক করা হয়।

মোশারফ হোসেন বসুরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার ছোট ভাই জাহেদ হোসেন সাহেদ (২৮) উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নির্দেশে আওয়ামী লীগের ওই নেতাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আবদুল কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা। তাদের মতে এটি ক্ষমতার অপব্যবহার।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে কাদের মির্জার নির্দেশে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল ২ নম্বর ওয়ার্ডে যুবদল নেতা জাহেদ হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশ তাকে বাড়িতে না পেয়ে থানায় ফিরে আসে। এতে ক্ষুব্ধ হন আবদুল কাদের মির্জা। পরে তিনি পুলিশকে জাহেদের বড় ভাই সাবেক কাউন্সিলর মোশারফ হোসেনকে ধরে আনতে বলেন। সেই অনুযায়ী বুধবার দুপুরে পুলিশ মোশারফকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসে।

আবদুল কাদের মির্জা বলেন, মোশারফ আওয়ামী লীগের সঙ্গে নেই। তিনি বিএনপির সঙ্গে মিটিং করে মিছিল করিয়েছেন। সেটা প্রমাণ হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সে আমাদের দল করে না। সে একরাম চৌধুরীর ক্যাডার। একরাম চৌধুরীর দল করে।  

ছোট ভাইকে পুলিশ ধরতে না পারায় বড় ভাইকে ধরে আনতে বলেছেন কি না, জানতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রশীদ মঞ্জু বলেন, মোশারফ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার ছোট ভাই বিএনপির রাজনীতি করেন। মঙ্গলবার রাতে নাকি তাদের বাড়িতে বিএনপির লোকজন সভা করেছেন। মেয়র (আবদুল কাদের মির্জা) বিষয়টি শোনার পর তাকে (মোশারফ) ফোন দিলে তিনি অস্বীকার করেন। পরে মেয়র প্রমাণ বের করে মোশারফকে পুলিশে দেন।

মাহবুব রশীদ আরও বলেন, আমরা বিষয়টি দেখছি, আমরাও অনুরোধ করেছি, তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। ছোট ভাইকে না পেয়ে বড় ভাইকে আটক করার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরাও ভালোভাবে দেখছি না। কারণ, মোশারফ নিজেও বিভিন্ন সময় তার ভাইকে থামাতে চেষ্টা করেছেন, কিন্তু পারেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।