ঢাকা: চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৩০ দিনের মধ্যে সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়তে হবে মর্মে হাই কোর্টে রায় ঘোষণার পর অসন্তুষ্ট বিএনপি নেতারা আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার ওই রায় ঘোষণার পর বাংলানিউজকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় প্রত্যেক বিএনপি নেতাই ব্যক্ত করেছেন আইনি লড়াইয়ে অবশ্যম্ভাবী জয়ের আশাবাদ।
বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বাংলানিউজকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি নিয়ে আইনগত লড়াই চালিয়ে যাবে বিএনপি। কারণ, এ বাড়ির সব বৈধ কাগজপত্র আছে। তাই আইনি লড়াইয়ে অবশ্যই আমরা জয়ী হবো। ’
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনা প্রধান লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া নিজ ক্ষমতাবলে বাড়িটি নিজের নামে লিখিয়ে নেননি। অন্য সরকারের আমলে বাড়িটি তাকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ বাড়ির সব বৈধ কাগজপত্র আছে। তাই খালেদা জিয়ার এ বাড়িতে থাকতে কোনো আইনগত সমস্যা নেই। এ ব্যাপারে বিএনপি অবশ্যই উচ্চ আদালতে যাবে। তবে হাইকোর্টের রায় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। ’
তিনি আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যখন জেড ফোর্স কমান্ডার ছিলেন তখন থেকেই এ বাড়িতে থাকতেন। পরবর্তীতে সেনাপ্রধান, এমনকি রাষ্ট্রপতি হয়েও তিনি এ বাড়িতেই থেকেছেন। এ বাড়িতে খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের অনেক স্মৃতি আছে। ’
স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কিছুটা উষ্মা প্রকাশ করে বাংলানিউজকে বলেন, ‘শেখ হাসিনা যে খালেদা জিয়াকে এখনও দেশ ছাড়ার নোটিস দেননি এটাই বড় ব্যাপার। হাসিনা যা করছেন তা ঠেকানোর ক্ষমতা কার আছে?’
আইনি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘অস্তিত্বের ওপরে আঘাত এলে তো কেউ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। অবশ্যই বাঁচার পদক্ষেপ নেবে। ’
এ মামলার আইনজীবী বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এমপি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আদালতের রায় আমরা আইনের মাধ্যমেই মোকাবেলা করবো। ’
এ রায়ের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক সংঘাত শুরুর প্রেক্ষাপট তৈরি হলো কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সংঘাতের আর বাকি কই। সারাদেশেই নেতাকর্মীদের হত্যা বা গুম করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবারকে শেষ করার ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের (সরকার) উদ্দেশ্য যে খারাপ তা তাদের কর্মকাণ্ডেই বোঝা যায়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০, অক্টোবর ১৩, ২০১০