ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশে সাদ্দাম

যারা ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ বলে তাদের ‘গো ব্যাক পাকিস্তান’ বলুন

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৩
যারা ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ বলে তাদের ‘গো ব্যাক পাকিস্তান’ বলুন

ঢাকা: যারা ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ বলে তাদের ‘গো ব্যাক পাকিস্তান’ বলতে বলেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। রোববার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিএনপি-জামাতের হরতাল, বিভিন্ন স্থানে হামলা, বাসে আগুন ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে এ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করা হয়৷

সাদ্দাম বলেন, বিএনপির ঢাকার রাজপথে তাণ্ডব চালিয়েছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে সন্ত্রাসে রূপান্তর করার চেষ্টা করেছে। হাসপাতাল ও সরকারি স্থাপনায় হামলা করেছে। সংবাদ সংগ্রহের পেশাদার কাজে নিয়োজিত সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করেছে। তারা বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে ব্যবসা করতে চায়। সুতরাং কেউ যদি টেক ব্যাক বাংলাদেশ বলে, তাদেরকে গো ব্যাক পাকিস্তান বলুন।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যেমন রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আক্রমণ করেছে, বিএনপি একই কায়দায় সেখানে হামলা করেছে। যারা আক্রমণ করেছে, তারাই আজকে আবার হরতাল ডেকেছে। আমরা যেমন গায়েবানা জানাজা দেখি, বিএনপি তেমন গায়েবানা আন্দোলন করে। লন্ডনে বসে আরেকজন (তারেক রহমান) এসব আন্দোলনের নির্দেশ দেন৷

গণমাধ্যম কারও পক্ষ হয়ে কাজ করে না। বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সংবাদ করতে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সংবাদ হয়ে ফিরে এসেছে। তারা ভয় পেয়েছে, গণমাধ্যম যদি সঠিক সংবাদ তুলে ধরে তাহলে তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে যাবে।

এসময় রাজপথ ছাত্রলীগের বলে উল্লেখ করেন তিনি। সাদ্দাম বলেন, রাজপথের মালিকানা ছাত্রলীগের। আমাদেরকে রাজপথের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।

সমাবেশে ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, রাজপথে আন্দোলনের নামে সরকারি সম্পদের ক্ষয়সাধন করেছে বিএনপি। তাদের যে অতীতের আচরণ, ২৮ অক্টোবর বিএনপি তাদের অতীত আচরণের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। আমরা তাদেরকে ২০০৯ সালে প্রথম গোল দিয়েছি। ২০১৪ সালে দ্বিতীয় গোল দিয়েছি। ২০১৮ সালে হ্যাট্রিক করেছি। আশা করি এবার এক হালি পূরণ করবো।

ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, বিএনপির দমন-পীড়নের রাজনীতির কারণে মানুষ তাদেরকে বর্জন করেছে। তারা পূর্বের মতো বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করতে চাইছে। ছাত্রলীগ তা প্রতিহত করবে।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রাজীবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সজল কুন্ডসহ ঢাবির হল ও ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।