কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে পরীক্ষায় নকল করতে না পেরে মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে।
এ সময় তারা কলেজের বিভিন্ন বিভাগের দরজা-জানালা, ফুলের টবসহ বিভিন্ন আসবাবপত্রে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
হামলায় আতঙ্কিত হয়ে দিগবিদিক ছুটোছুটির সময় ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।
এ ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘটনার পর দুপুর ২টায় কলেজ শিক্ষক পরিষদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঘটনার জন্য নিন্দা জানানো হয়। এর পাশাপাশি য়তি নিরূপণ ও দোষীদের চিহ্ণিত করতে রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মাহবুবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ বৈঠকে ঘটনার জন্য থানায় একটি জিডি করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
হামলার পর কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আইয়ুব আলী দাবি করে বলেছেন, ‘কলেজের ঘটনার সাথে ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা নেই। ’
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী জানায়, সোমবার স্নাতক ২য় বর্ষের ইংরেজি বিভাগের পরীক্ষায় কলেজ শাখার ছাত্রলীগ নেতারা বিশেষ সুবিধা না পাওয়ায় হৈ চৈ করে এবং মঙ্গলবার দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরই জের ধরে মঙ্গলবারের এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
কলেজের উপাধ্য তোফায়েল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ‘সোমবার ইংরেজি পরীক্ষার সময় কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য কলাপ্সিবল গেট বন্ধ করে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এতে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র বিক্ষুব্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
এবিষয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাহারুল ইসলাম জানান, ‘তিনি ঘটনার কথা শুনেছেন। তবে এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১০