ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

১৪ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করবে খেলাফত মজলিস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩
১৪ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করবে খেলাফত মজলিস

ঢাকা: দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ ৮ দফা দাবিতে আগামী ১৪ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করবে খেলাফত মজলিস।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির নেতারা।

এতে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু সালেহীন ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য বলেন, দেশ ও জাতির এক সংকটময় মুহূর্তে অতিক্রম করছে। দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনা ও বিদেশে অর্থ পাচারের কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকারের দমন-পীড়নে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ অস্থিতিশীল হচ্ছে। হত্যা-নির্যাতন, জেল-জুলুম, হামলা-মামলার মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রিত বলয়ের মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে। বহু আলেম-ওলামাকে গ্রেপ্তার করে মামলা দিয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে।

 খেলাফত মজলিসের দাবিগুলো হচ্ছে-
১. দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা: রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে নির্বাচনের তিন মাস আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে এবং নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।

২. নির্বাচনে সবার জন্যে সমান সুযোগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা: নির্বাচনে সবার জন্যে সমান সুযোগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং পেশীশক্তি ও অর্থশক্তি মুক্ত নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

৩. দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে আস্থায় না নিয়ে নির্বাচন কমিশন বা সরকারের একক সিদ্ধান্তে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না।

৪. গ্রেপ্তার আলেম ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার করা: গ্রেপ্তার আলেম উলামা ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে এবং তাদের উপর দায়েরকৃত সমস্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

৫. রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের অবাধ সুযোগ নিশ্চিতকরণ: বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সভা-সমাবেশ করার অবাধ সুযোগ দিতে হবে। বিরোধী দলগুলোর কর্মসূচিতে বাধাদান, হয়রানি, গ্রেপ্তার, মামলা, হামলা বন্ধ করতে হবে।

৬. পণ্যমূল্য কমিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘব ও দুর্নীতি নির্মূল করা: জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং খাদ্যদ্রব্য-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমিয়ে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে এনে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতে হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে অর্থ পাচার রোধ ও বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরৎ আনা-সহ সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি নির্মূল করার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

৭. বেকার সমস্যা সমাধান ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দান: দেশের বেকারত্ব দূর করার জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ সর্বাত্মক ব্যবস্থা অবলম্বনের পদক্ষেপ নিতে হবে এবং সব প্রকার বৈষম্য দূর করে সব ধরনের সরকারি চাকরিতে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দানের ব্যবস্থা করতে হবে।

৮. ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন নীতি বন্ধ ও বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল করা: সাধারণ শিক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন নীতি বন্ধ করতে হবে এবং সব বোর্ড পরীক্ষায় ধর্মীয় বিষয়কে আবশ্যকীয় বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মশিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। বর্তমান শিক্ষানীতির আলোকে প্রণীত স্কুল-মাদরাসার পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলামী চিন্তা-বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক যাবতীয় বিষয় বাদ দিতে হবে। সমতা সৃষ্টির নামে সাধারণ পাঠ্য বইয়ের মাধ্যমে মাদরাসায় ইসলামী শিক্ষার মান ও পরিবেশ কোনোক্রমেই ক্ষুণ্ন হতে দেওয়া যাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩
টিএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।