ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

হাজারো মানুষের ভালবাসায় অন্তিম শয়ানে আতাউর রহমান

রমেন দাশগুপ্ত, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১০

চট্টগ্রাম: রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ হাজারো মানুষের গভীর শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় অন্তিম শয়ানে শায়িত হলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সার।

তিন দফা নামাজে জানাযা শেষে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নগরীর চন্দনপুরা এলাকায় তার নিজ বাসভবনের পাশে পারিবারিক গোরস্থানে সমাহিত করা হয়।



গত ২৮ আগস্ট কক্সবাজারে দলীয় একটি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এই প্রবীণ নেতা শনিবার দুপুর ৩টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।  

রোববার সকালে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন গ্রামে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে বেদনাবিধুর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সেখানে প্রথম দফা জানাযা শেষে তার মরদেহ আবারও নিজ বাসভবনে নিয়ে আসা হয়।

বাদ আসর নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে দ্বিতীয় দফা নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। ওই জানাযায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। বিভিন্ন সংগঠনের প থেকে সেখানে ফুলেল শ্রদ্ধাও জানানো হয়।

জানাযায় শরীক হন নোবেল জয়ী ব্যক্তিত্ব ড. মুহম্মদ ইউনূস, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাংসদ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিা মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমিন, ভূমি মন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সিটি মেয়র এম মনজুর আলম ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ আওয়ামীলীগ, বিএনপি, কমিউনিস্ট পার্টি ইত্যাদি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলররা।  

জানাযা পূর্ব এক সংপ্তি বক্তব্যে আতাউর রহমান খান কায়সারকে রাজনৈতিক অভিভাবক উল্লেখ করে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আতাউর রহমান খান কায়সার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, আওয়ামী লীগের দু:সময়ের কাণ্ডারি। তিনি দল ও দেশকে শুধু দিয়েছেন। বিনিময়ে কিছুই নেননি। ’

বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মরদেহ আবারও নিজ বাসভবনে নিয়ে আসা হলে সেখানে পুলিশের একটি চৌকস দল মুক্তিযুদ্ধের এই সংগঠকের প্রতি গার্ড অব অনার দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান।

এরপর বাদ মাগরিব তৃতীয় দফা জানাযা শেষে তাকে সমাহিত করা হয়।    

রাজনীতিতে সৎ, পরিচ্ছন্ন ও নির্লোভ ব্যক্তিত্ব হিসেবে সর্বমহলে সমাদৃত আতাউর রহমান খান কায়সার ১৯৪০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি দীর্ঘদিন দণি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ মতায় আসার পর তাকে প্রথমে রাশিয়ায় ও পরে দণি কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত করা হয়। ২০০২ সালের কাউন্সিলে তাকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়ামের সদস্য করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।