কুমিল্লা: যুবদলের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা শহরের টাউন হলের সামনে রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে যুবদলের বিবদমান দু’পরে গোলাগুলি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় ১ জন গুলিবিদ্ধ ও ১৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১জন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রয়েছেন।
এ ঘটনায় ১টি রিভলভার উদ্ধারসহ ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ছোড়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বাংলানিউজকে জানায়, টাউনহলের ভেতরে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতিত মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের উপস্থিতিতেই হলের বাইরে সকাল থেকে যুবদলের দু’প শক্তি প্রদর্শন করতে থাকে। সকাল সাড়ে দশটায় সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা সাড়ে এগারোটার পরে শুরু হয়।
প্রত্যদর্শীরা জানান, ভেতরে সম্মেলন শুরুর পরপর বাইরে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়।
দু’পরে ক্যাডাররা দেশীয় অস্ত্রসহ আগেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। উভয় প এ সময়ে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এক পর্যায়ে দুপুর ১২ টা ৫৩ মিনিটে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে তার নাম জানা যায়নি। তাকে কোন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাও জানা যায়নি।
ঘটনাস্থল থেকে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈনুদ্দিন আহমেদ জানান, সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
অপরদিকে কোতোয়ালি থানায় দায়িত্বরত পুলিশের পরিদর্শক শাহাজাহান কবীর জানান, সংঘর্ষ চলাকালে টাউনহলের কাছেই কলেজ রোডে বিএনপি অফিসের সামনে যুবদলের অস্ত্রধারী একটি গ্র“পকে পুলিশ ধাওয়া করে। এ সময় তারা একটি রিভলভার ফেলে পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, ১ জন পুলিশ কনস্টবলসহ এ পর্যন্ত ১৮ জন আহত হয়েছে। আহত এসআই মোসাদ্দেককে কুমিল্লা পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
১১ জনকে আটকের বিষয়টি ওসি মাঈনুল নিশ্চিত করেছেন। তাদের মধ্যে দু’জনের নাম জানা গেছে। তারা হলো কবীর ও স্বপন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য যুবদলের কাউকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১০