ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

ফরিদপুরে সাবেক আহ্বায়কের অফিস দখল নিল যুবলীগের একাংশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৩
ফরিদপুরে সাবেক আহ্বায়কের অফিস দখল নিল যুবলীগের একাংশ

ফরিদপুর: তালা ভেঙে ফরিদপুর জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও ফরিদপুর-৩ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সহকারী একান্ত সচিব এএইচএম ফোয়াদের ব্যক্তিগত কার্যালয় দখল নিল যুবলীগের একাংশ।

সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরের পরে ফরিদপুর শহরের থানা রোডে পৌরসভার মালিকানাধীন মার্কেটের তৃতীয় তলায় তিনটি কক্ষ তালা ভেঙে দখলে নেওয়া হয়।

 

এসময় জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শামীম তালুকদার, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক জেলার সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইমসহ যুবলীগের বেশ কিছু নেতা কর্মী। সেখানে তারা অফিসে থাকা ফরিদপুর-৩ আসনের এমপি মোশাররফ হোসেনের বাধাই করা ছবি সরিয়ে ফেলে।

ফরিদপুর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ফোয়াদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ছয় বছর যাবত পৌরসভার মালিকানাধীন থানা রোডে ওই মার্কেটের তৃতীয় তলায় লিজের মাধ্যমে বরাদ্দ নেওয়া হয়। সরকারি বিধি মোতাবেক প্রতিবছর ওই দোকানের ভাড়া নিয়মিত পরিশোধ করা হচ্ছে। আমাদের মতো আরও প্রায় দেড়শতাধিক ব্যক্তি ওই মার্কেটের দোকান লিজ নিয়ে বরাদ্দ নিয়েছেন। সকলেই স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করে ব্যবসা করছেন।

জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও ফরিদপুর সদর আসনের এমপি (সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর এপিএস) এ এইচ এম ফোয়াদের ভাগিনা মামুন মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, আমার মামা তার জীবনে অধিকাংশ সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য উৎসর্গ করেছে। আজ তার ব্যক্তিগত অফিস অন্যায়ভাবে তালা ভেঙ্গে যুবলীগ নেতা শামিম, ফাহিমসহ তাদের অনুসারীরা দখল নিয়েছে। দল ক্ষমতায় অথচ দলের একজন নিবেদিত কর্মীর সঙ্গে এমন আচরণ কতটুকু গ্রহণযোগ্য।  

ফরিদপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শামীম তালুকদার বলেন, জেলা যুবলীগের বসার জায়গা ছিল না, ওই অফিসটি যুবলীগের সাবেক নেতা ব্যবহার করতো। তাই আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে অফিসটি খুলে বসার ব্যবস্থা করেছি। বিষয়টি আমাদের নেতা নিক্সন চৌধুরী জানেন (ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য)।  

এ প্রসঙ্গে ফদিরপুর-৪ আসনের এমপি ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী বলেন, আমি কাউকে অন্যের ব্যক্তিগত অফিস ভাঙতে বলেনি বা দখল করতে বলিনি। বলেছি যুবলীগের অফিস থাকলে সেখানে দলের কার্যক্রম পরিচালনা করতে। দল যাতে সুসংগঠিত হয়।  

ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। তবে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দুই প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের জন্য অফিস উদ্বোধন করেছেন। আমরা কেন অন্যের ব্যক্তিগত অফিসে বসতে যাবো। এটা সঠিক কাজ হয়নি।

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল এ প্রসঙ্গে বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। তবে এমন ঘটনা যদি হয়, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।