ঢাকা: রাজধানীতে টেন্ডারবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের হামলায় যুবলীগ নেতা ইউসুফ নিহত হওয়ার ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় আরও দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হচ্ছেন- হান্নান ওরফে পেট কাটা হান্নান ও আবুল।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবলী নোমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘শুক্রবার গ্রেপ্তারকৃত রাসেলের দেওয়া তথ্য ও একটি মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে নয়াটোলা এলাকা থেকে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। ’
তিনি জানান, হান্নান ও আবুল রেডক্রিসেন্টের টেন্ডারগুলো নিয়ন্ত্রণ করতেন। সেইসঙ্গে তারা ইউসুফকে মারধোরের ঘটনায় অভিযুক্তদের সহযোগী ছিলেন।
নিহতের ভাতিজা ইমরান আলী বাংলানিউজকে শনিবার দুপুরে জানান, একটি মোবাইল ফোন থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তাকে হুমকি দিয়ে বলে, ‘আমাদের একজনকে তোরা পুলিশে দিয়েছিস, এখন তোদেরও আরেকটি লাশ পড়বে। ’
বিষয়টি রমনা থানাকে জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন ইমরান।
তবে রমনা থানার ওসি শিবলী নোমান এ ধরনের কোনো অভিযোগের কথা জানেন না বলে জানান।
বুধবার সকালে মগবাজার মোড়ের কাছে টঙ্গী ডাইভারশন রোডের সর্দারবাড়ি এলাকায় যুবলীগ নেতা ইউসুফকে মারধর করেন ছাত্রলীগ কর্মীরা।
এ ঘটনায় ওই দিনই দুপুরে রমনা থানায় ফয়সাল (২৪), মো. আলী (২৬), রিপন (২৬) ও বাদশা (২৪)সহ অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আহত ইউসুফ।
মামলা করার পর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ওই দিন সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থলে এসে রমনা জোনের এসি মোনালিসা বেগম নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন, ‘ইউসুফের হৃদরোগ ছিল। তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে না হামলাকারীদের আঘাতে মারা গেছেন তা তথ্যপ্রমাণ ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে। ’
তবে শনিবার পর্যন্ত ইউসুফের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে এসে পৌঁছেনি বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১০