ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

বিচার বিভাগ এখন পুলিশের এক্সটেনশন: আমীর খসরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৩
বিচার বিভাগ এখন পুলিশের এক্সটেনশন: আমীর খসরু

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিচার বিভাগ হলো এখন পুলিশের এক্সটেনশন। তারা এখন সবার সামনে চলে এসেছে।

এটা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।  

দেশের পরিবর্তন করতে বর্তমান ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের পতন ঘটাতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আমীর খসরু।  

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে এই সভার আয়োজন করে জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদ।

জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মো. আবদুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বোরহানউদ্দিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল আহসান, জিয়া পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা ড. শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ইয়ারুল কবির, আব্দুল্লাহিল মাসুদ, প্রকৌশলী রুহুল আলম, ড. তোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ।

তারেক- জুবাইদার দণ্ডের বিষয়ে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, যে রায় দেওয়া হয়েছে তা বিচার বিভাগীয় রায় নয়। এটি একটি ফ্যাসিস্ট রেজিমের রায়। যারা জনগণকে বাইরে রেখে ক্ষমতায় বসে আছে। আইনের নামে যত বেআইনি কাজ আছে সবই করে যাচ্ছে। অসাংবিধানিকভাবে সংবিধান সংশোধন করেছে। বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ যার যার অবস্থান থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করার কথা। কিন্তু অসাংবিধানিকভাবে সংবিধান সংশোধন করার কারণে দেশকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে সবই একাকার হয়ে গেছে। কারণ সত্যিকার অর্থে সাংবিধানিকভাবে দেশ পরিচালনা হলে ফ্যাসিস্ট রেজিমের অস্তিত্ব থাকবে না। অবৈধ সরকারের অস্তিত্ব থাকবে না। এজন্যই তারা জবাবদিহিতা চায় না।

তিনি বলেন, যারা ফ্যাসিস্ট তারা তো স্বচ্ছতা চাইবে না। কারণ জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করতে হবে। ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে হবে। সেজন্যই তো রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো ধ্বংস করে ফেলেছে। তারা ব্যাংক লুট করে শেয়ার বাজার লুট করে। অথচ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একটি মুক্ত অর্থনীতি চালুর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত করেছিলেন। এখন হচ্ছে আওয়ামী মডেল অর্থনীতি।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজ তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে সাজা দিয়েছে সেখানে বিচারকের করার কিছু নাই। কারণ এটা তো সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে আসে। যা সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহা এমনকি বর্তমান বিচারকরাও বলেছেন। সুতরাং তাদের কাছে কোনো প্রত্যাশা করে লাভ নেই।

বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হলে এই ফ্যাসিস্ট রেজিমের বিদায় ঘটাতে হবে। তারেক রহমানের ২৭ দফার ভিত্তিতে রাষ্ট্র নতুনভাবে মেরামত করতে হবে। এজন্য এই সরকারের বিদায় ছাড়া কোনো উপায় নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৩
টিএ/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।