ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘আমরা সংবিধানের কোনো কাটাছেঁড়া করিনি। আমাদের শাসন আমলকে বৈধতা দিতে একটি বিল পাশ করেছিলাম মাত্র।
শনিবার দুপুরে বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়াম্যানের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তৃণমূলে জাতীয় পার্টিকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সপ্তম সংশোধনী নিয়ে মাথা গরম না করার পরামর্শ দিয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পার্টির নেতাদের বলেন, ‘সপ্তম সংশোধনী বাতিল হয়েছে। এ নিয়ে আপনারা কোনো দুঃচিন্তা করবেন না। ’
১০ নভেম্বর গণতন্ত্র দিবস পালনের ঘোষণা দিয়ে এরাশাদ বলেন, ‘১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর মার্শাল ল’ তুলে নিয়ে আমরাই দেশে গণতন্ত্র চালু করেছিলাম। সুতরাং আগামী ১০ নভেম্বর থেকেই ওই দিনটিকে গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করা হবে। ’
মহাজোটে যাওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে এরশাদ বলেন, ‘১৯৯৬ সালে জেল থেকে মুক্ত হলেও আমি মুক্তভাবে রাজনীতি করতে পারিনি। সব সময় কোনো না কোনোভাবে আমাকে হয়রানী করা হয়েছে। এবার মহাজোটে যোগ দেওয়ায় মুক্তভাবে কাজ করতে পারছি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘কতবড় রিস্ক নিয়ে মহাজোটে যোগ দিয়েছিলাম তা শুধু আমি জানি। তিন দিন আত্মগোপনে থাকার পর যেদিন চৌদ্দ দলের মিটিংয়ে যোগ দেই সেদিন আমার সঙ্গে জাতীয় পার্টির কোনো নেতা ছিলেননা। ’
এরশাদ বলেন, ‘ওই দিন চৌদ্দদলের নেতারা বিশেষ করে আওয়ামী লীগকর্মীরা আমাকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণীত করেছিল। ’
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মহাজোটের অংশ হিসেবে এ বিচার প্রক্রিয়ায় আমাদের সম্পূর্ণ সমর্থন আছে। তবে আমরা চাই এর সুবিচার হোক। পৃথিবীর জনগণ যেন এটি প্রশ্নাতিভাবে মেনে নেয়। ’
সংগঠন শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংগঠন যদি শক্তিশালী হলে আগামীতে এককভাবে নির্বাচনে যাব। মনে রাখবেন দুর্বলের সঙ্গে কেউ হাত মেলায় না। ’
সভায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম মুহম্মদ কাদের ও ভাইসচেয়ারম্যান শেরিফা কাদের।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন পার্টির দপ্তর সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১০