ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

গামা হত্যাকারীদের ক্ষমা বাবু হত্যাকাণ্ডকে উৎসাহিত করেছে: দেলোয়ার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১০
গামা হত্যাকারীদের ক্ষমা বাবু হত্যাকাণ্ডকে উৎসাহিত করেছে: দেলোয়ার

ঢাকা: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর বিএনপির সভাপতি সানাল্লাহ নূর বাবু হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আগামী ১০ অক্টোবর সারা দেশে মহানগর ও জেলাসমূহে এবং ১২ অক্টোবর ঢাকা মহানগরীতে প্রতিবাদসভা ও বিক্ষোভ মিছিল করবে দলটি।



শনিবার দুপুর ১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন।

কর্মসূচি ঘোষণাকালে তিনি বলেন, ‘সরকার খুন করে, ভয় দেখিয়ে দেশের মানুষকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। ’

তিনি নাটোরের গামা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের ২০ নেতাকর্মীকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ থেকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির এ ক্ষমা যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাবু হত্যাকাণ্ডে উৎসাহিত করেছে। ’

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনাদের রুখে দেওয়ার জন্য জনগণ এগিয়ে আসবে এবং খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাদের নির্মমভাবে বিদায় নিতে হবে। ’

এ জন্য শেখ হাসিনাকে দায়ী করে তার প্রতি প্রশ্ন রেখে খোন্দকার দেলোয়ার বলেন, ‘শেখ হাসিনা, কতো রক্ত চান আপনি। কতো রক্ত হলে আপনার পিপাসা মিটবে? আপনার যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা যখন নির্মমভাবে কুপিয়ে মানুষ হত্যা করে তখন পুলিশ কীভাবে নীরব থাকে?’

তিনি বলেন, ‘তারা তো জানমাল রক্ষার জন্যই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের কর্মচারী। তারা কেন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করলো? অবশ্যই ওপরের নির্দেশেই তারা এ কাজ করেছে। ’

বিএনপি মহাসচিব বাবু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে বলেন, ‘সরকার প্রধান ও সরকারি দল আগে থেকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জানতো। তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘তারা আসলে বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্যই বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম ও তাদের বাড়িঘর লুটপাট শুরু করেছে। ’

খন্দকার দেলোয়ার অভিযোগ করেন, ‘নাটোরের বনপাড়ায় যুবলীগের নেতাকর্মীরাই নির্মমভাবে হত্যা করেছে সানাউল্লাহ নূর বাবুকে। তারা তার হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। এতেই ক্ষান্ত হয়নি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা সাংবাদিকসহ বিএনপির ৪০ জন নেতাকর্মীকে আহত করেছে। ’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেয় যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন। এর আগেও জাকির আলমগীর নামে এক যুবদল নেতাকে হত্যা করেছে। ’

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান পটল, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠকি সম্পাদক ঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন।

সাংবাদিক সম্মেলনে শেষে বিএনপি কার্যালয়ে সান্নাউল্লাহ নূর বাবুর গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।