ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

দুদিনে বিএনপির ৫ শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, দাবি আব্বাসের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৩
দুদিনে বিএনপির ৫ শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, দাবি আব্বাসের

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস দাবি করেছেন, মহাসমাবেশকে ঘিরে গত দুই দিনে বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

 

মির্জা আব্বাস বলেন, দলের পক্ষ থেকে বারবার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির কথা বলে হলেও আমাদের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গত দুই দিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি মনে করি সরকারের এই সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক এবং নিপীড়নমূলক।  

আটক সব নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।  

বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে আবারও আহ্বান জানাই, আপনারা আগামীকাল নয়াপল্টনস্থ বিএনপির মহাসমাবেশের নিরাপত্তা বিধানে যথাযথ সহযোগিতা করবেন। আমি আশা করি, সমাবেশে আসার পথে জনগণ ও বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কোনো প্রকার বাধা প্রদান করা হবে না।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা মহাসমাবেশকে সাফল্যমণ্ডিত করতে ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। দলের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনা সহকারে শান্তিপূর্ণ এই মহাসমাবেশে দলে দলে যোগ দেবেন। বিলম্বে হলেও আগামীকাল মহাসমাবেশে পুলিশ কর্তৃপক্ষের ইতিবাচক ভূমিকার জন্য আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার একদফা আন্দোলনে আজ সারা জাতি ঐক্যবদ্ধ। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ জিয়ার নেতৃত্বেই এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরে আসে। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচিতে জনগণের অংশগ্রহণকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করে। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল হিসেবে বিএনপি সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে এসেছে। বারবার বিএনপির কর্মসূচির ওপর নৃশংস হামলা করার পরও বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে তার লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, কয়েকমাস ধরে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ধারাবাহিক কর্মসূচিতে সরকারের পক্ষ থেকে হামলা হলেও বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে কখনোই সহিংস সন্ত্রাসের পথে পা বাড়ায়নি বরং সরকারের পক্ষ থেকেই গুলি ও সশস্ত্র অস্ত্র দিয়ে  হামলা চালিয়ে আমাদের নেতাকর্মীকে খুন, জখম ও পঙ্গু করা হয়েছে। বিএনপির সমাবেশ, পদযাত্রা, তারুণ্যের সমাবেশ ইত্যাদি নানা কর্মসূচিতে সরকারি দল বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে হামলা হলেও এর প্রতিবাদ জানাতে বিএনপি তার নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে সরে আসেনি এবং কোন উসকানিতে পা দেয়নি।  
এরপর তিনি বলেন, আজ ২৭ জুলাই মহাসমাবেশের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ কর্ম দিবসের অজুহাত তোলা হয়। কিন্তু আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো যেকোনো দিবসেই, সেটি কর্মদিবসই হোক অথবা বন্ধের দিনই হোক, তা পালন করতে বাধা দেওয়া হয় না। তারপরেও  সকলদিক বিবেচনা করে দলের পক্ষ থেকে আজকের কর্মসূচি পরিবর্তন করে আগামীকাল শুক্রবার বন্ধের দিন জুমার নামাজের পরে বেলা ২ টায় নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।  

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেড এম জাহিদ হোসেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী,ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম , উত্তরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান,  চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম  আজাদ , নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৩
এমএমআই/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।