ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্র বিক্রি করে দিয়েছেন: রিজভী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্র বিক্রি করে দিয়েছেন: রিজভী অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আজ আপনি গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতাকে ফেরি করে বিক্রি করে দিয়েছেন। জনগণের অধিকারকে কারাবন্দি করেছেন।

দেশকে আপনি বন্দিশালা করেছেন। এর অবসানের জন্য আজ সকল গণতান্ত্রিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ।  

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে নটরডেম কলেজের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। তীব্র গরমে লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার প্রতিবাদে এর আগে বিদ্যুৎ ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে পল্টন থেকে যাত্রা শুরু করেন ঢাকা জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে নটরডেম কলেজে সামনে এলে পুলিশ ব্যারিকেডে তারা আটকা পড়েন।

রিজভী বলেন, আমাদের কর্মসূচির লক্ষ্য দুঃশাসনের অবসান করা। কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান করা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশি চাপের কাছে মাথা নত করবেন না। আমি বলব, জনগণের চাপের কাছেও মাথা নত করেন না। আমাদের লোককে যখন পুলিশ গুলি করে হত্যা করে, তখন আপনি তার কোনো প্রতিবাদ করেন না।  

সরকারের পতন আসন্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ১৫৪টি প্ল্যান্ট। তার মধ্যে ৪৯টি শুধু চালু আছে। আর বাকি ১০৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রায় বন্ধ বা কিছু পরিমাণে চালু আছে। তাহলে আজ বিদ্যুৎ কোথায় গেল। আপনার এক এমপি বলেছেন, দেশে ফেরি করে নাকি বিদ্যুৎ বিক্রি হবে। তাহলে আপনার সেই বিদ্যুৎ আজকে কোথায়? 

ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের সমালোচনা করে নানা ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়।  

নটরডেম কলেজের সামনে পুলিশের বাধায় কর্মসূচি শেষ করে রিজভী বিএনপির সাতজন প্রতিনিধিকে বিদ্যুৎ অফিস পাঠান,  যাদের বেশিরভাগই বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য। তাদের মধ্যে ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীও ছিলেন।

পরে বিদ্যুৎ অফিসে গেলে এই সাত প্রতিনিধিকে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা প্রথমে ভেতরে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা এবং পুলিশ সদস্যরা এই প্রতিনিধিদলকে অফিসের ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি দেন। তবে এ সময় কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।  

প্রায় ২০ মিনিট বিদ্যুৎ অফিসের ভেতরে অবস্থান করে বিএনপির প্রতিনিধিদল। পরে বেরিয়ে এলে অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীকে বলতে শোনা যায়, ভেতরে চা নাস্তা ভালোই খেয়েছি। আপনাদের ধন্যবাদ।  

ভেতরে কী কথা হয়েছে জানতে, চাইলে ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন,  বিদ্যুৎ ভবনের ভেতরে আমরা আজ স্মারকলিপি দিয়েছি। বিদ্যুৎ অফিসের উপ-পরিচালক মমতাজ পারভিন স্মারকলিপি নিয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২৩
ইএসএস/আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।