ঢাকা : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে বোমা হামলার মামলার শুনানি পিছিয়েছে।
বুধবার মামলার পলাতক আসামি বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের পুত্র খোন্দকার আকতার হামিদ পবন ও নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ওমর ফারুকের গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল না হওয়ায় এ শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়।
পলাতক আসামিদের গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৩ অক্টোবর তারিখ ধার্য করেছেন জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জহুরুল হক।
৫ জুলাই একই আদালত মামলার অভিযোগপত্রের গ্রহনযোগ্যতা শুনানি শেষে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
আদালতের পেশকার ইফতেখার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘মামলার অপর ৩ আসামি পবনের বন্ধু প্রদীপ সাহা, গোলাম সাব্বির শোভন ও সুলতান হাসান রনি কারাগারে আটক আছেন। ’
নাম ঠিকানা সঠিক না থাকায় আজাদ নামের এক পলাতক আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জিয়াউর রহমান গত ২৭ মে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ৩৩ জনকে সাক্ষী করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ৩ আসামি প্রদীপ সাহা, গোলাম সাব্বির শোভন ও সুলতান হাসান রনি ঘটনার দায় স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় মহানগর হাকিম শাহাদাত হোসেনের নিকট জবানবন্দী দেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি সেলের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর মেজর মুহাম্মদ হানিফ (অব.) বাদী হয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলা দায়ের করেন।
এজাহার থেকে জানা যায়, ২৩ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ের সামনে পরপর দুটি বোমা নিপে করে। এরপর তারা দুটি মোটর সাইকেল করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
মামলায় আসামি হিসাবে কারও নাম উল্লেখ না থাকলেও ঘটনার পর প্রদীপ সাহা গ্রেফতার হলে তিনি ঘটনার দায় স্বীকার করে জড়িতদের নাম প্রকাশ করেন। তার স্বীকারোক্তিমতে অপর আসামিদের গ্রেফতার করে অভিযোগপত্রে নাম অর্ন্তভূক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময় : ১৬০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১০