ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে স্মারকলিপি প্রত্যাহারে চাপের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৩
রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে স্মারকলিপি প্রত্যাহারে চাপের অভিযোগ

ঢাকা: নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবি ও স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি ফেরত নিতে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ জানিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, বাসদ (মার্কসবাদী)।

রোববার (৯ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে স্মারকলিপি ফেরত নিতে চাপ প্রয়োগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে বাসদ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাসদের সমন্বয়ক মাসুদ রানা। তিনি বলেন, নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন,  দ্রব্যমূল্য কমানো ও সার্বজনীন রেশন চালু , শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি ২০ টাকা ঘোষণা, কৃষি ফসলের ন্যায্যমূল্য প্রদান, সকল নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ- এ পাঁচ দফা দাবিতে বাসদের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী প্রায় ৩ মাস ধরে স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। এতে ৩০ হাজার মানুষ স্বাক্ষর করেছেন।

গত বুধবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর পল্টন মোড়ে কর্মসূচি শেষে সংগৃহীত স্বাক্ষর ও স্মারকলিপি নিয়ে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয় এবং রাষ্ট্রপতি দপ্তর তা গ্রহণ করে। তবে গত শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে দলের সমন্বয়ক মাসুদ রানাকে ফোন করে বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানান। আমরা ধারণা করেছিলাম উত্থাপিত দাবিগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু সেখানে পৌঁছার পর আমরা এক ভিন্ন চিত্র দেখলাম। সেখানকার কর্মকর্তারা আমাদের স্বাক্ষর ও স্মারকলিপি ফেরত নিতে চাপ প্রয়োগ শুরু করেন। অর্থাৎ কার্যত তারা এই স্মারকলিপি প্রত্যাখ্যান করলেন।

মাসুদ রানা বলেন, স্মারকলিপি প্রত্যাখ্যান করার মতো ঘটনার মধ্যে দিয়ে গণতান্ত্রিক সৌজন্যটুকু আর রাখলো না। আমরা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেছি, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটা অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে এগিয়ে চলেছে এবং জনমনে এ পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ ও আশঙ্কা বাড়ছে। তাছাড়া বর্তমান সময়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটের তীব্রতা বেড়েছে। এই সংকটজনক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে, জনগণের মতামত ও দাবিসমূহ আমরা রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেছিলাম। এই ধরনের একটি পরিস্থিতিতে ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দল তাদের মতামত ও দাবি ব্যক্ত করবে, এটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে আলাপ-আলোচনার ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখা দরকার, যার জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সৌজন্যতা ও সহনশীলতা।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের এমন আচরণে জনমনে এ ধারণা আরও দৃঢ় হবে, সরকার ভিন্ন রাজনৈতিক মতামত আর শুনতেও চাইছে না। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চর্চিত রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে আঘাত করা হলো। এ দৃষ্টান্ত দেশের জন্য কোনো শুভ ফল বয়ে আনবে না। স্মারকলিপিতে উত্থাপিত দাবিগুলো আমরা মন থেকে গড়ে নিয়ে লিখিনি। এ দাবি জনগণেরই দাবি। তারা এ দাবিতে তাদের সমর্থনও ব্যক্ত করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাসদের (মার্কসবাদী) নির্বাহী কমিটির সদস্য সীমা দত্ত ও জয়দীপ ভট্টাচার্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৩
এইচএমএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।