ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: গয়েশ্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১১ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: গয়েশ্বর

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামীদিনের আন্দোলন সংগ্রামে সফল হতে হলে ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই।

আওয়ামী লীগ সরকারের হাত থেকে জনগণের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির লড়াই-সংগ্রাম চলবে। আমরা জনগণকে মুক্ত করতে চাই, গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে চাই, আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে চাই। এ মুক্তি আমরা যতক্ষণ না পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

বুধবার (১৫ মার্চ) জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েলস পার্টি সেন্টারে এ সম্মেলন হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি উপস্থিত অতিথি ও সারাদেশ থেকে আগত কাউন্সিলরদের অভিবাদন জানান।  

জাসাসের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকনের উপস্থাপনায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জলসহ সারাদেশের ৬০ জেলার শীর্ষনেতারা।  

গয়েশ্বর বলেন, দেশের জনগণের একটাই দাবি-নিরপেক্ষ নির্বাচন। এ মুদ্রা পাচারকারী শিশু হত্যাকারী সরকারকে এ দেশের জনগণ আর দেখতে চায় না। কিন্তু এ সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাধারণ জনগণ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে আশা করছি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারব এবং দেশের প্রকৃত মালিক জনগণ, তাদের মালিকানা ফেরত দিতে পারব।

আন্দোলনে জাসাসের অনেক ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামাজিক সাংস্কৃতিক আন্দোলন মানুষকে আকৃষ্ট করে। সহজেই সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে আসে। তাই আগামী দিনে আন্দোলনে সাংস্কৃতির বিপ্লবের মধ্যদিয়ে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যেমন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতা আর গানের মধ্যদিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অধিকার আদায়ের শিহরণ তুলেছিল।

সভাপতির বক্তবে,জাসাসের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে জাসাসের দায়িত্ব দেন। এরপর ঢাকাসহ সারাদেশের জাসাসের ইউনিটগুলো ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছি। সাংগঠনিকভাবে কর্মীসভা করে যোগ্যনেতাদের খুঁজে কমিটি দিয়েছি। চেষ্টা করেছি জাসাসকে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে।

জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন বলেন, জাসাস সংগঠনকে শক্তিশালী করতে প্রতিটি জেলায় গিয়ে কর্মীসভা করেছি। এ পর্যন্ত ৬০ জেলায় কমিটি দিয়েছি। যেখানে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা নিরসনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। সে সঙ্গে বিএনপি ঘোষিত সব কর্মসূচিতে জাসাস সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। আগামীতে সরকার বিরোধী যেকোনো আন্দোলন সংগ্রামে সামনে সারিতে থাকবে জাসাস।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
এমএইচ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।