ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আজ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১০

ঢাকা : জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র ডাকে আজ রোববারসারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিরোধী দলের ডাকা এটিই প্রথম দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল।



গত ১৯ মে ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে বিএনপি’র ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ সংকট, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, ভারতের সঙ্গে অসম চুক্তি, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ ও বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে ২৭ জুন এই হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এর আগে রাজশাহী মহাসমাবেশে যাওয়ার পথে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে বগুড়ায় এবং ওয়ার্ড কমিশনার আহমেদ হোসেন হত্যার প্রতিবাদে পুরান ঢাকায় অর্ধদিবস হরতাল পালন করেছিল বিএনপি।

আজকের হরতাল সফল করতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মে’র শেষ সপ্তাহ থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সমমনা রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনগুলোর সঙ্গে পর্যায়ক্রমে বৈঠক করেন। বৈঠকে সমমনা রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো হরতালে তাদের নৈতিক সমর্থন ব্যক্ত করে মাঠে থাকার আশ্বাস দেয়।

হরতালে সমর্থন আদায়ের জন্য ৫ জুন জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেন খালেদা। ওই বৈঠকে জামায়াত হরতালে তাদের সমর্থনের কথা জানায়।

হরতাল সফল করতে বিএনপি ২৩ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচার চালায়। ২৪ জুনের বৈঠকে দলের নীতিনির্ধারক ও মহানগর নেতাদের হরতালের দিন মাঠে থাকার নির্দেশ দেন খালেদা জিয়া। ২৬ জুন হরতালের সমর্থনে মহানগর ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি এবং সমমনা রাজনৈতিক দল ও তাদের অঙ্গ-সংগঠন।

এদিন মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্যে বিরোধী দলের চিফহুইপ জয়নুল আবদীন ফারুখ ও যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ ১০জন আহত হন।

এদিকে হরতালে কোনো নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সরকার বরদাশত করবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। শুক্রবার এক আলোচনা সভায় তিনি সরকারের এই কঠোর অবস্থানের কথা জানান।

অন্যদিকে শুক্রবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে খালেদা জিয়া বলেন, শান্তিপূর্ণ হরতালে বাধা দিলে দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

হরতাল কর্মসূচিকে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আখ্যায়িত করে সরকারের প্রতি অনুরোধ রেখে তিনি বলেন, ‘এই শান্তিপূর্ণ হরতালে কোনো ধরনের বাধা প্রদান ও উস্কানি সৃষ্টি করবেন না। ’

এদিকে মিরপুর-বিমানবন্দর সড়কসহ প্রধান সড়কগুলোতে হরতালের দিন মিছিল নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

শুক্রবার রাজারবাগ পুলিশ টেলিকম মিলনায়তনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে পুলিশ কমিশনার এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘বিরোধীদলের ডাকা হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালনে পুলিশ কোনো বাধা দেবে না। তবে ওই সময় গাড়ি ভাঙচুর বা আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ফৌজদারি অপরাধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমন কিছু করলে মামলা দায়ের করা হবে। ’

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ০০০১ ঘণ্টা, ২৭ জুন, ২০১০
এমএম/এজেড/একে/বিকে/এজে/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।